হাসপাতালের আনসারদের মারধরে রোগীর স্বজনের মৃত্যুর অভিযোগ

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় হাসপাতালটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২ টা ৫৪ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মামুন। তিনি মিরপুর এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি কোনো এক কাজে শিশু হাসপাতালের গেটের ভিতর প্রবেশ করেন এ সময় আনসার সদস্যদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় পরবর্তীতে তিনি দৌঁড়ে পালিয়ে জেতে চাইলে আনসার সদস্যরা চোর চোর করে ডাক দিলে জনতা তাকে দৌঁড়ে দরে আবারও শিশু হাসপাতালের ভিতর নিয়ে আসে এবং সেখানে উপর্যুপরি মারধর করে আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে- নিরাপত্তার দায়িত্বদের থাকা আনসার সদস্যদের হাতে কেন মামুনকে মরতে হল। 

খবর পেয়ে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পরে ঘটনাস্থল শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন শেরে বাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পরে তিনি বলেন, এখন কিছু বলা যাবে না। আমরা কাজ করছি তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। 

মারধরের কারণ ও নিহতের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি বলেন, নিহতের পরিচয় জানতে আমরা কাজ করছি। তবে মারধরের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। শুনেছি জনতা গণধোলাই দিয়েছে। আনসার সদস্যরা ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মারধর করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কিছু পেলে আপনাদের জানাবো। সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে এ বিষয় তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। কিন্তু এখন তদন্তের স্বার্থে আপনাদের দেওয়া যাবে না। কিছু পেলে জানানো হবে।

বিকেল চারটার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধারকারী শেরে বাংলা নগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এএসএম আল মামুন নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত মামুন মিরপুর পল্লবী এলাকায় বসবাস করতেন। তার পিতার নাম মৃত ফজলুল হক। পেশায় সে একজন চা বিক্রেতা। রবিবার সকালের দিকে সে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে তার মা ও স্ত্রীর সাথে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এরপর শেরেবাংলা নগর থানার শিশু হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করার সময় তাকে চোর সন্দেহে মারধর করলে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।