• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

‘মুজিবঃ একটি জাতির রূপকার’ দেখতে সিনেমা হলে তরুণদের ঢল

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:০০, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ২১:৫৫, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
‘মুজিবঃ একটি জাতির রূপকার’ দেখতে সিনেমা হলে তরুণদের ঢল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র। তার আবার প্রতিদিন ৩টি করে শো হচ্ছে বিনামূল্যে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মধন্য গর্বিত গোপালগঞ্জের আবাল বৃদ্ধ বনিতা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন প্রেক্ষাগৃহে। তিনটি শোতেই ৭৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহে দর্শক উপচে পড়ছে। আসন না পেয়ে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। পরের দিন চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ চলচ্চিত্র দেখতে প্রেক্ষাগৃহে তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে উপস্থিতি হচ্ছে। তাই প্রক্ষাগৃহে তরুণ প্রজন্মের ঢল নামছে প্রতিদিন।   

ভারত ও বাংলাদেশর যৌথ প্রযোজনায় ‘মুজিবঃ একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি গত ১৩ অক্টোবর সারাদেশ একযোগে মুক্তি পেয়েছে। ওইদিন থেকেই গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন জেলা শিল্পকলা একাডেমির শেখ ফজলুল হক মণি অডিটোরিয়ামে ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৭ দিন ব্যাপী চলচ্চিত্রটি বিনামূল্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানান দিতে আমরা বিনামূল্যে ৭দিন ব্যাপী ‘মুজিবঃ একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছি। প্রতিদিন ৩টি করে শো হচ্ছে। এখানে আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা সবাই চলচ্চিত্রটি দেখতে সমানে ভীড় করছেন। তবে তরুণ প্রজন্ম এ চলচ্চিত্রটি বেশি দেখছে। তারা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, আদর্শ, সাহস, দর্শন দেশপ্রেম সম্পর্কে জানতে পেরে গর্বিত হচ্ছে। এতে আমাদের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে। নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হচ্ছে।

তরুণ প্রজন্মের গৃহবধূ জারিণ ফারহান (২৩) বলেন, চলচ্চিত্রটি দেখে দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরেছি। ছবিতে ১৫ আগস্টের ঘটনাসহ ৪ জায়গায় আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। অশ্রুপাত করেছি।

ইতিহাস পড়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যতটা জেনেছি, বায়োপিক দেখে তার থেকেও বেশি তাঁকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পেরেছি। তাই ত্যাগী ও সাহসী শৃংখল মুক্তির মহানায়কের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ চলচ্চিত্র আমার উপলব্ধি ও চেতনাকে শানিত করেছে। নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছি।

নাট্যকর্মী জয়নাল মল্লিক জয় (২১) বলেন, শ্যাম বেনেগালের মেকিং অসাধারণ। দৃশ্যায়ন চমৎকার। তিনি বিষয় ও ভাববস্তু ঠিক রেখে শৈল্পীকভাবে এটিকে উপস্থাপন করেছেন। এটি পরিচালনা করে তিনি মুন্সিআনার পরিচয় দিয়েছেন। অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা সাবলীল ভঙ্গিতে খুবই সুন্দর অভিনয় করেছেন। তাই সবদিক দিয়ে এই চলচ্চিত্রটি আমার কাছে হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতী দশপল্লী নেছার উদ্দিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রসাদ কুমার মৃধা (৪৪) বলেন, চলচ্চিত্রটি আমার বীবেককে নাড়া দিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দুরদর্শী অনেক অজানা ইতিহাস এখান থেকে জানতে পেরেছি। চলচ্চিত্রটি যতদিন দর্শকরা চাইবে ততদিন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এরমধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সবার অন্তরে ছড়িয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবীর সিফাত বলেন, চলচ্চিত্রটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিটি শোতে আমারা সবাইকে জায়গা দিতে পারছি না । তারা পরের দিন এসে দেখছে। চলচ্চিত্রটি তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে বেশি দেখছে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে ১টা, দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৬ থেকে রাত ৯ পর্যন্ত ৩টি শো করা হচ্ছে। 

গোপালগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক আমিনুল হাসান শাহীন বলেন, রবিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চলচ্চিত্রটি স্বপরিবারে দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আসন পাইনি। বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম। তাই আজ সোমবার সবাইকে নিয়ে দেখতে যাব।   
 
উদীচী গোপালগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি মোঃ নাজমুল ইসলাম (৬০) বলেন, চলচ্চিত্রটি মান সম্পন্ন। ব্রিটিশ আমল থেকে রাজনীতির অনেক জটিল ও কুটিল বিষয়গুলো এখানে সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। অনেক জায়গায় অজানা তথ্য জানান দেওয়া হয়েছে। এটি নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষনীয়। একটি জায়গায় শেখ ফজলুল হক মণি বঙ্গবন্ধুকে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেন। 

বঙ্গবন্ধু সেটি প্রথ্যাক্ষাণ করে বলেন, ‘আমি গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছি। তাই আমি এটা করতে পারব না। এটি আমাকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ধারণা বদলে দিয়েছে। আসলেই তিনি ছিলেন মহান নেতা। বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।’ 

বিভি/এমএস/এইচএস

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2