ঈদ ঘিরে চাঙা অর্থনীতি

এবার উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার অর্থনীতির বাজার তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। এর মাঝে শুধু কোরবানির পশুকে ঘিরেই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বলে দাবি বাংলাদেশ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের। দিন দিন এ অর্থনীতি বাড়াতে হলে প্রান্তিক খামারিদের নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা দেয়ার পরামর্শ তাদের।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। যে উৎসবকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে ওঠে অর্থনীতি। যার বড় অংশ পশু কোরবানির সাথে সংযুক্ত। পশু উৎপাদন, কেনা-বেচা, বহন, কোরবানি এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবস্থায় গড়ে বৃহৎ অর্থনৈতিক বাজার।
এ বছর এক কোটি ৭ লাখ চাহিদার বিপরীতে কোরবানিযোগ্য ছিলো ১ কোটি ৩০ লাখ পশু। যার মধ্যে গরু ৫৫ লাখের বেশি। বাকিটা ছাগল ও অন্যান্য। কোরবানি ঈদের পশু কেনা-বেচা হয়েছে আনুমানিক ৬৫ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার। এর সঙ্গে পশু পরিবহণ, খাদ্য, কসাই ও আনুষঙ্গিক খরচ ৫ হাজার কোটি টাকা। কাঁচা চামড়া-লবণ ও শ্রমিকের মজুরি ১ হাজার কোটি টাকা। পেঁয়াজ, রসুন ও মসলার বাজার ৮ হাজার কোটি টাকার। ফ্রিজ-ইলেকট্রনিক্স পণ্য, পোশাক, পর্যটন ও যাতায়াত খরচ ১০ হাজার কোটি। তবে এসবের ভিড়ে পোশাক ও বাহারি পণ্য কেনা কাটার বাজারে ছিলো ভাটা।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই অর্থনৈতিক বাজার আরো বাড়ানো সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারি নীতি সহায়তা।
কোরবানির গরুর উৎপাদন মূলত গ্রামকেন্দ্রিক। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সরকারকে আরো যত্নশীল হওয়ার তাগিদ এই অর্থনীতিবিদের।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: