‘এ বছর কোরবানির অর্থনীতি ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে’

এ বছর কোরবানির অর্থনীতি এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও হিসাব না থাকায় সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে বলে ধারণা অর্থনীতিবিদদের। সাপ্লাই চেইন ঠিক করা গেলে এ খাত থেকে কয়েকগুন বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির আগে ও পরে দেশে লেনদেন হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। এতে সচল হয় দেশের অর্থনীতির চাকা। সমৃদ্ধ হয় দেশের জিডিপি। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, এবার প্রায় সোয়া এক কোটি পশু কোরবানি হয়েছে দেশে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কোরবানির পশুর বিক্রয়মূল্যের পাঁচ শতাংশ হারে রাজস্ব আসে সরকারি কোষাগারে। তবে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। 

কোরবানির পরে অর্থনীতির বড় একটি ধাপ হলো চামড়া। এ সময় বছরের প্রায় ৬০ শতাংশ চামড়াই সংগ্রহ করে থাকেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এখাতেও অব্যবস্থাপনার কারণে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস হচ্ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। 

কোরবানির অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে পশু পালনকারীদের এবং সরবরাহকারীদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের সুবিধার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।