• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

৬২ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জন মোংলা সমুদ্র বন্দরের

জসিম উদ্দিন, মোংলা

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ১০ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৬:৫১, ১০ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
৬২ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জন মোংলা সমুদ্র বন্দরের

যুদ্ধ-সংঘাত ও অভ্যন্তরীণ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বিদায়ী অর্থবছরে জাহাজ আগমন, কার্গো হ্যান্ডলিং ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংসহ সকল ক্ষেত্রে মুনাফায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দর। আর, এই পণ্য উঠানামার মধ্যদিয়ে নীট মুনাফা অর্জন করেছে ৬২ কোটি ১০ আখ টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেশি। চলতি অর্থ বছরেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা বন্দর কতৃপক্ষের।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বন্দরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন সব তথ্য তুলে ধরেন মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন। এসময় মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের পরিচালক (বোর্ড) কালা চাঁদ সিংহ, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, উপ-পরিচালক মাকরুজামান মুন্সি, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসএম আবজালুল ইসলাম, প্রধান হাইডোগ্রাফার কমান্ডার রাসেল আহম্মেদ, পরিচালক ট্রাফিক মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জানানো হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাহাজ আগমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০০টি। এ অর্থবছরে বন্দরে ৮৩০টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের মধ্য দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০টি জাহাজ বেশি আগমন করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮ দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন। এ অর্থবছরে বন্দরে ১০৪ দশমিক ১২ লাখ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের মধ্য দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ দশমিক ৩২ লাখ মেট্রিক টন এবং ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয় এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার টিইইউজ। এ অর্থবছরে বন্দরে ২১ হাজার ৪৫৬ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মধ্য দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪৫৬ টিইইউজ এবং সাত দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে।

মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন জানান, মোংলা বন্দরে জাহাজ জট নেই। কন্টেইনার খালাসের ক্ষেত্রে টার্ন এরাউন্ড টাইম এক দশমিক ৬৬-৪০ ঘণ্টা এবং এভারেজ অন্যান্য ক্ষেত্রে টার্ন এরাউন্ড টাইম তিন দশমিক ৩৭-৭৮ ঘণ্টা। গাড়ি আমদানিকারকদের জন্য বিশেষ সুবিধাদি বিদ্যমান রয়েছে। পযাপ্ত কন্টেইনার রাখার জন্য সাতটি কন্টেইনার ইয়ার্ড রয়েছে। টাগ বোর্ট, পাইলট বোর্ট, মুরিং বোর্ট, পাইলট ডেসপাস বোর্ট, সার্ভে বোর্ট, ড্রেজার ইউনিট ইত্যাদিসহ মবক এর বন্দরে ৩৮টি সহায়ক জলযান রয়েছে। এছাড়া বন্দরের নিরাপওার ক্ষেত্রে আইএসপিএস কোড যথাযথ অনুসরণ করার পাশাপাশি বিদেশি জাহাজ আগমন ও নির্গমনের সময় নিরাপত্তা প্রদানের জন্য কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল বিদ্যমান ছাড়াও এ বন্দর থেকে নিরাপদে কম খরচে সড়ক ও নৌপথে সহজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মালামাল পরিবহনের সুবিধা রয়েছে। দীর্ঘ ১৪৪ কিলোমিটার বন্দর চ্যানেলে লাইটেড বয়া ও লাইট টাওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে দিবারাত্রি নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নেভিগেশনাল সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে এবং বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের জন্য ৪৯টি বিভিন্ন পয়েন্টে বার্দিং সুবিধাও রয়েছে। বন্দর পরিচালনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বন্দরের স্টেক হোল্ডার, শিপিং এজেন্টস, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ষ্টিভেডরসহ সব ধরনের বন্দর ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় সফলতার এই অর্জন বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্বভার গ্রহণের পর বন্দরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে মোংলা বন্দর পরিদর্শন করে বন্দর উন্নয়ন ও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তাদের সময়োপযোগী পরামর্শে মোংলা বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছ বলেও জানান তিনি।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: