গত অর্থবছরে ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার মাছ রফতানি

দেশে ২০২৪-’২৫ অর্থবছরে প্রায় ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা সমমূল্যের ৯১ হাজার মেট্রিক টন মাছ বা মৎস্যজাত পণ্য রফতানি করা হয়েছে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ‘মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন এবং সর্বোত্তম ব্যবহার’ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে খুলনাস্থ বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)’র সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসেব অনুযায়ী দেশে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৫০ দশমিক ১৮ লাখ মেট্রিক টন। দেশের ১৪ লাখ নারীসহ ২ কোটির বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে জড়িত। দেশের মোট জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান প্রায় ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে এখাতের অবদান প্রায় ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ইলিশ আহরণে প্রথম, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে দ্বিতীয় ও তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে পঞ্চম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিপুল কুমার বসাক।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদেশে মানসম্মত মৎস্যপণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। তবে পণ্যের মান ধরে রাখতে না পারলে অথবা মাছে অপদ্রব্য মেশালে মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির আন্তর্জাতিক বাজার হারাতে হবে। তাই মাছের পোনা সংগ্রহ, চাষ, আহরণ, বাজারজাত ও প্রক্রিয়াজাতকরণসহ সব পর্যায়ে আদর্শমান ঠিক আছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করা আবশ্যক।
তারা আরও বলেন, দেশের মোট রফতানি আয়ে মৎস্যখাত এক সময় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রাখতো, এখন সেটা সপ্তম স্থানে নেমে এসেছে। আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাই। ভালো মানের পোনা সরবরাহ নিশ্চিতে মৎস্য বিভাগ আরও সক্রিয় হবে বলে আশা করা যায়। কার্প জাতীয় মাছ চাষের পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় গৃহীত উদ্যোগগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন।
খুলনা বিএফএফইএয়ের সাবেক সহ-সভাপতি এস হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান, মৎস্য অধিদপ্তরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার মো. জাহিদুল হাসান এবং মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দফতর খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবুল হাসান।
সভায় মৎস্যখাতে খুলনা অঞ্চলের অবদান, লাভজনক ও মানসম্মতভাবে মাছচাষ, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন-২০২০ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দফতরের মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা লিপ্টন সরদার।
খুলনা মৎস্য অধিদফতরের জেলা কার্যালয় আয়োজিত সভায় মাছচাষি, মাছ ব্যবসায়ী ও রফতানিখাত-সংশ্লিষ্টরা অংশ গ্রহণ করেন।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: