• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্র; স্থগিতের দাবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৮:৫৭, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্র; স্থগিতের দাবি

৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করার একটি ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বন্দর ব্যবহারকারীরা এই মাশুল স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী নেতারা। অন্যথায় এটি রোধের হুমকি দেন তারা। বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে আলোচনার পর সবার সম্মতিতে বন্দরের মাশুল নির্ধারণ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। 

রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্বাভাবিক ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহানগরীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী নেতাদের সমন্বয় সভায় তারা এসব কথা বলেন। 

সমন্বয় সভায় ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, কারো সাথে আলোচনা ছাড়া একতরফাভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্ত মংলা ও পায়রা বন্দরে বাড়ানো হয়নি। বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে আলোচনা না করে বাড়িত মাশুল কার্যকর করার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের উদ্যেগ নেওয়া হলে উপদেষ্টাদের চট্টগ্রামে আসতে বাঁধা দেওয়া হবে। 

চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চিটাগং চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহসভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, এশিয়ান গ্রুপের প্রধান এম এ সালাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীসহ অন্যরা। 

সমন্বয় সভায় ব্যবসায়ী নেতারা আরও বলেন, আমরা ট্যারিফ বাড়ানোর বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম বন্দর জনগণের টাকায় তৈরি সেবার জন্য। ২০২৩ সালের বন্দর আইনে উপদেষ্টা পরিষদ বাতিল করেছে। স্বাধীনতার সময় বন্দরে কাঁটাতারের বেড়া ছিল। পৃথিবীতে সাড়ে চার হাজার বন্দর আছে। আড়াই হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। বাড়াতে হলে জাতীয় সংসদ বাড়াবে। এ দেশের গার্মেন্টস থেকে বায়ার পোশাক কিনবে না। ভিয়েতনাম, ভারতে চলে যাবে বায়ার। দেশে সেবাখাত ট্যারিফ বাড়িয়ে ব্যবসা দুর্বিসহ করছে। প্রতিবাদ হিসেবে আশাদের এ আয়োজন। নতুন ট্যারিফ কার্যকরের পর এ অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বন্দর হবে চট্টগ্রাম। বন্দরে আমদানি বন্ধ হলে রফতানিও বন্ধ হয়ে যাবে। তখন বন্দর কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ভাড়া দিতে হবে। ট্যারিফ বাড়িয়ে বন্দরকে মেরে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2