• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের প্রভাব বাজারে, বস্তায় বেড়েছে পাঁচশো টাকা

নাসির উদ্দিন

প্রকাশিত: ১২:৫১, ১৯ মে ২০২২

আপডেট: ১৩:৩৮, ১৯ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের প্রভাব বাজারে, বস্তায় বেড়েছে পাঁচশো টাকা

ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের প্রভাবে চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জে কেজিতে দাম বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা। এই দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারে টনপ্রতি গমের দাম ৫০ ডলার বৃদ্ধি ও দেশে ডলারের ঊর্ধ্বগতিকে দোষছেন । এই অবস্থায় বিকল্প ‍উৎসের সন্ধ্যান এবং  পাইপলাইনে থাকা ভারতীয় গম দ্রুত আনার ব্যাপারে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আমদানিকারকরা। 

দেশে বছরে গমের চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। এই চাহিদার ৬৫ লাখ টনই আমদানি করতে হয়। ভারত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব গম আমদানি করা হয়। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গম আমদানি হয়েছে ৩৩লাখ ৩০ হাজার টন। গত অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ৪১ লাখ ৯৯ হাজার টন। বিগত অর্থ বছরের তুলনায় এবার প্রতিমাসে কম আমদানি হয়েছে ১৬ হাজার ৯১৬ টন। এছাড়া ভারত থেকে স্থল বন্দর দিয়েও গম আমদানি হয়। বড় শিল্প গ্রুপ যাদের নিজস্ব আটা-ময়দার কারখানা আছে, তারা সরাসরি আমদানি করে। আবার গম এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রিও করেন আমদানিকারকরা। পাইকারি বাজার থেকে গম কেনে ছোটখাটো আটা-ময়দার কারখানাগুলোও।

আমদানি কিছুটা কম হলেও বাজারে গমের অভাব নেই। কিন্তু ভারতের  রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় উত্তাপ ছড়িয়েছে পাইকার ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জে। কেজিতে দাম বেড়েছে  ছয় থেকে সাত টাকা এবং ৪৮ কেজির বস্তায় বেড়েছে ৪০০ থেকে ৫০০টাকা। এসব নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে অনীহা ব্যবসায়ীদের। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমেছে এ নিয়ে হত্যাশ তারা। 

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ পরিচালক  মো. নাছির উদ্দীন বলেন, সরকারের সহযোগিতায় ব্যবসায়ীরা গমের বিকল্প উৎসের সন্ধান পাবেন, তাই সংকট তৈরি হবে না বললেন সরকারি এই কৃষিবিদ। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কোন দোকান থেকে যদি আমরা বাজার করি ওই  দোকানটা যদি বন্ধ হয়ে যায় অন্য দোকান থেকে কেনা-কাটা করি। 
 
এদিকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপ এর  চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন ভারতীয় গমের দাম ও আমদানি খরচ অনেক কম। সংকট উত্তরণে বিকল্প ‍ উৎসের সন্ধ্যান এবং রপ্তানির জন্য ইতিমধ্যে চুক্তিবদ্ধ ভারতীয় গম আনার ব্যাপারে সরকারের দরকারি হস্তক্ষেপ চান তারা। 

তিনি বলেন, বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা গমের একচেটিয়া সরবরাহ ছিলো। দেশটি রপ্তানি বন্ধের প্রভাবে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। বিশ্বের কমোডিটি এক্সচেঞ্জগুলোতে ভারতের রপ্তানি বন্ধের প্রভাবে দাম বাড়ছে।

ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় শুধু খাতুনগঞ্জ নয়, গমের দাম বেড়েছে বিশ্ববাজারেও। নিম্ন মানের ভারতীয় গম টনপ্রতি আগের ৩৯০ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪০ ডলারে। ভাল মানের  কানাডার গম ৫৪৫ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯০ ডলারে। দাম যত বাড়বে,দেশে রুটি-পরোটা থেকে গমের সব খাদ্যপণ্যের দামও বাড়বে। 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: