• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম ৬০ টাকা বাড়ল কেজিতে  

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ২১ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম ৬০ টাকা বাড়ল কেজিতে  

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্রতিকেজি রসুনের দাম। ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কৃত্রিম সংকটের কারণে হয়েছে এই মূল্য বৃদ্ধি। দেশের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে চীনা রসুনের সরবরাহ কমেছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ বলছে, আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে।

ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে চীন থেকে আমদানিকৃত প্রতি কেজির রসুনের বর্তমান পাইকারি মূল্য ১৬০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও একই জাতের রসুন বিক্রি হয়েছিল ৯৫-১০০ টাকায়। দেশি জাতের রসুনের বর্তমান দাম ৬০-৭২ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছিল ৫০-৬০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স গ্রামীণ বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বলয় কুমার পোদ্দার বলেন, আগে প্রতিদিন বাজারে ১০ ট্রাক রসুন আসতো। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে সরবরাহ কম। গত কয়েক দিন ধরে মাত্র এক ট্রাক করে রসুন এসেছে।

আমাদানিকারকরা জানিয়েছে, এই মাসের ২১-২২ তারিখের দিকে বন্দরের জাহাজ থেকে পণ্য ছাড়লে সরবরাহ বাড়তে পারে। তখন দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আমদানি না বাড়লে রসুনের দাম আরো বাড়বে বলে জানান তারা।

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। এর প্রভাব পড়ছে আমদানি পণ্যে ওপরও। এছাড়া এসব কারণে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেও দাম বাড়ানো হচ্ছে বাজারে। শুধু রসুন নয় দাম বেড়েছে আদারও। দুই সপ্তাহ ধরে পেয়াজের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী।

এদিকে, পাইকারি বাজারে দুই সপ্তাহে আগে চীন থেকে আমদানিকৃত আদা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকারও কমে। বর্তমানে এই পণ্যটির প্রতি কেজির পাইকারি মূল্য ৬০-৬৫ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। বর্তমানে দাম বেড়ে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, দেশে বছরে রসুনের চাহিদা প্রায় ৬ লাখ টন। বছরে রসুন উৎপাদিত হয় ৫ লাখ টনের মতো। রসুনের চাহিদার ১৩ থেকে ২০ শতাংশ আমদানি করতে হয়।

অন্যদিকে আদার চাহিদা বছরে প্রায় ৩ লাখ টন। দেশে উৎপাদিত হয় ১ লাখ ৭৩ হাজার টনের মতো। তাতে মোট চাহিদার ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়।

পেঁয়াজের বাজার এখনো ঊর্ধ্বমুখী

কৃষকদের সুরক্ষা দিতে গত ৬ মে থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। এছাড়া আমদানির অনুমোদন দেওয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। এর প্রভাবে দুই সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে পেঁয়াজের বাজার।

পাইকারি বাজারে বর্তমানে ভারতীয় নাসিক জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩৪-৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ৩৫-৩৮ টাকায় এবং এর আগের সপ্তাহে ২২-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩২ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৩০-৩৪ টাকায় এবং এর আগের সপ্তাহে ২৬-২৭ টাকায় বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তর ও টিসিবির তথ্যমতে, দেশে প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২২-২৩ লাখ মেট্রিকটন। দেশে উৎপাদিত হয় ১৮-১৯ লাখ টন।

সংগ্রহত্তোর অপচয় হিসেবে ২৫ শতাংশ বাদ দিলে ব্যবহার উপযোগী পেঁয়াজ থাকে প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিকনটন। আবাদকৃত পেঁয়াজের প্রায় ২ শতাংশ পরবর্তী বছরের বীজের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। সেই হিসেবে, প্রতি বছর প্রায় ৯-১০ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজেও সরবরাহ ও বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ অপচয় হয়।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, "শুধু পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আদা-রসুনের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে না।"

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2