বিমানবন্দরে উপদেষ্টার ব্যাগে গুলিসহ ম্যাগাজিন, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বিমানবন্দরে ব্যাগে গুলিসহ ম্যাগাজিন পাওয়া নিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়া নিজের ফেরিফাইড ফেসবুক পেইজে বলেছেন, সেটি ছিল নিরাপত্তার স্বার্থে লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র। যা ভুলে ব্যাগে এসেছে বলেও দাবি তার।
তবে, একজন উপদেষ্টার এমন আচরণ গণঅভুত্থানের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে কি না তা তাকে পরিস্কার করার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, সরকারের উচিত জবাবদিহিতার আওতায় এনে তদন্ত প্রতিবেদন জনসন্মুখে প্রকাশ করা।
সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক জানান, স্টেটাস দিলেও যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেননি উপদেষ্টা। তার বিরুদ্ধে আসা নানা অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিদার।
জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরক্কোগামী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ওঠার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার লাগেজ থেকে গুলিসহ ম্যাগাজিন জব্দ করে বিমানবন্দর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। রবিবার (২৯ জুন) সকালের ঘটনা এটি। বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজ-০৯ এ লাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় ম্যাগাজিনটি শনাক্ত করা হয়। পরে উপদেষ্টা তার প্রটোকল অফিসারের কাছে তা রেখে যান।
বিষয়টি নিয়ে আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে। গণ অভুত্থানের নেতৃত্বের ওপরে যেভাবে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে কয়েক দফা, তাতে রাখাটাই স্বাভাবিক। তিনি আরো লেখেন, বিষয়টি সর্ম্পূণ আন ইনটেশনাল। শুধু মাগাজিন দিয়ে আমি কি করবো ভাই? ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্র রেখে আসতাম না।’ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাধারণ মানুষের কাছে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। উপদেষ্টার বিষয়টি গণঅভুত্থানের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে কি না তা সরকারকে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী।
এর আগেও এপিএসের আর্থিক দুর্নীতি, বাবার নামে ঠিকাদারি লাইসেন্সসহ বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনায় আসলেও শুধু মাফ চাওয়া ছাড়া আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার কাছ থেকে কোন ব্যাখ্যা না পাওয়া গণঅভুত্থানের চেতনা পরিপন্থী বলে অভিমত তাদের। যেকোন মূল্যে গণঅভুত্থানের চেতনা ধরে রাখার দায়িত্ব এই সরকারকেই নিতে হবে, অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: