• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দেলদেন হু হু করে বাড়ছে। ফলে মোবাইলে আর্থিক সেবা এমএফএসের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতাও দিনদিন বেড়েই চলেছে। গ্রাহক থেকে গ্রাহক, গ্রাহক থেকে সরকার এবং মার্চেন্ট লেনদেন, বেতন-ভাতা পরিশোধ, টক টাইম ক্রয়, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ এবং ইন্টারনেট ক্রয় বিল বাবদ পরিশোধ করার পরিমাণ বাড়ছে। এখন দৈনিক ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবার মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। ২০২১ সালে একই সময়ে ৭৭ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। তবে এখানে ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’-এর তথ্য যুক্ত হয়নি। চলতি বছরের হিসাবের সঙ্গে নগদের হিসাব যোগ করলে লেনদেনের পরিমাণ আরও ২২ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যাবে। সেই হিসাবে এমএফএসে লেনদেন দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক লেনদেন ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

খাত-সং‌শ্লিষ্টরা বলছেন, শহর কিংবা গ্রাম এক মুহূর্তে দেশের যেকোনো স্থানে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমন লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। এ ছাড়া করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ নগদ লেনদেনের চেয়ে ক্যাশলেস লেনদেনে বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। বর্তমানে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস, সরকারের সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান যাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ২০২২ সালের জুলাই শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে গ্রামে ১০ কোটি ৭ লাখ ৫৪ হাজার এবং শহরে ৮ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ১০ কোটি ৪৩ লাখ ২৬ হাজার এবং মহিলা গ্রাহক ৭ কোটি ৬৪ লাখ ৯ হাজার জন। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৬ হাজার ২৩৯ জনে।

সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে এর সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন এমএফএসের মাধ্যমে গ্রাহক দৈনিক এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক হিসাব বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে পারবেন। আগে দৈনিক ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা করা যেত না। কার্ড থেকে টাকা জমার সীমাও নির্দিষ্ট ছিল না। এখন একজন গ্রাহক আরেকজনকে মাসে ২ লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে এ সীমা ছিল ৭৫ হাজার টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বর্তমানে দেশের সামগ্রিক পরিশোধ ব্যবস্থায় এমএফএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কোভিড-১৯-এর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমএফএসের আওতা ও লেনদেনের ব্যাপ্তি প্রসারের পাশাপাশি এ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা, শিক্ষা ও  সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এমএফএস ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং ডিজিটাল লেনদেন উৎসাহিত করতে এমএফএসের ব্যক্তি হিসাবের লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: