• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ব্যাংকিংয়ে নৈতিকতার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: গভর্নর 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪০, ১১ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ব্যাংকিংয়ে নৈতিকতার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: গভর্নর 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ব্যাংকিংয়ে নৈতিকতার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ভূমিকা পুরো ব্যাংকের পারফরমেন্সের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়া এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে তা আদর্শ হিসেবে বিবচনা করা যায়।

গভর্নর আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতের যেসব আন্তর্জাতিক মানের চর্চাগুলোর আলোকে বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বও কর্তব্য আলাদা করে দেয়া হয়েছে। যাতে ব্যাংকিং খাতে কর্পোরেট গভর্নেন্সের চর্চা করা সম্ভব হয়।  

শনিবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ২১তম নুরুল মতিন মেমোরিয়াল লেকচার ‘ইথিকস ইন ব্যাংকিং’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গ্রামীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. একেএম সাইফুল মজিদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 

মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. একেএম সাইফুল মজিদ বলেন, ব্যাংকিংয়ে নৈতিকতার চর্চা থাকলে ব্যাংকের সকল অংশীজনদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়। বিশেষ করে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষিত হয়। এমনকি ব্যাংকের মালিকদেরও স্বার্থ রক্ষা পাবে। ব্যাংকিং খাতের নৈতিকতা চর্চার কিছু সহজাত শক্তি এবং সুবিধা রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতের খারাপ ব্যবস্থাপনা এ খাতে অনৈতিকতার চর্চা বাড়িয়ে দিয়েছে। গত তিন দশকে ব্যাংকি খাতের ব্যর্থতার অন্যতম একটি কারণ অনৈতিক চর্চা।  এ কারণে ব্যাংকিং খাতের ব্যর্থতার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। 
 
বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিআইবিএম প্রতিবছর এ, এফ, এম, নুরুল মতিন স্মরণে মর্যাদাপূর্ণ স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে। এ বছর ২১তম স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরে প্রত্যেক বছর নৈতিকতার বিষয়ে নতুন বার্তা পেয়ে থাকে। এ বছর প্রফেসর ড. একেএম সাইফুল মজিদ বক্তৃতা ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. আশরাফ আল মামুন। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শীর্ষ ব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, বিআইবিএম-এর অনুষদ সদস্য, কর্মকর্তারা ২১তম নুরুল মতিন মেমোরিয়াল লেকচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। 

উল্লেখ্য, এ, এফ,এম, নুরুল মতিন ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫১ সালে তদানিন্তন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের গবেষণা বিভাগে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে তাঁর চাকুরী ঐ ব্যাংকের অপারেশন বিভাগে স্থানান্তরিত হয়। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকেই বাংলাদেশের ব্যাংকিং পরিকাঠামো নির্মাণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার ১৯৭২ প্রনয়ণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সত্তর দশক এবং পরবর্তীতে ব্যাংকিং খাতের উন্নতির জন্য নীতি নির্ধারণী বিষয়ে তাঁর অবদান উচ্চ মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। তিনি ১৯৭৮ সালে ব্যাংকিং খাতে তার অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। ব্যাংকিং খাতে তাঁর এই অসামান্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। উল্লেখ্য, ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা শীর্ষক এ মেমোরিয়াল লেকচার ১৯৯৮ সাল থেকে চালু করেছে বিআইবিএম।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: