• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ঈদ উপলক্ষে দুই সপ্তাহে রেমিট্যান্স এলো ১০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

আপডেট: ১৮:৫১, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ঈদ উপলক্ষে দুই সপ্তাহে রেমিট্যান্স এলো ১০ হাজার কোটি টাকা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গেল দুই সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় পাঠিয়েছে। যা চলতি মাসে (এপ্রিল) রেমিট্যান্স আসার নতুন রেকর্ড। ১৪ দিনে এসেছে ৯৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১০ হাজার ২৫৭ কোটি টাকার বেশি।

চলতি (২০২২-২০২৩) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। এরপর টানা ছয় মাস কেটে গেলে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স। অবশেষে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে এসে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় রেমিট্যান্স। অতিক্রম করে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, মহান স্বাধীনতার মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তাদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রয়াস কাজে আসছে। এভাবে রেমিট্যান্স এলে চলতি মাসেও ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি (এপ্রিল) মাসের ১৪ দিনে ৯৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয়। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৯ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩ দশমিক ৩২ মিলিয়ন ডলার।

তবে আলোচিত সময়ে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

চলতি (২০২২-২০২৩) অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে টানা ছয় মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে প্রায় ১৭০ কোটি ডলার বা ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে আসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। আর সদ্যবিদায়ী মার্চ মাসে এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের বেশি।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে মোট ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১.০৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: