• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ভিসি শিরীণ আখতারের পায়ে ছাত্রলীগ নেতার লুটিয়ে পড়ার ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ২০:০১, ২৭ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
ভিসি শিরীণ আখতারের পায়ে ছাত্রলীগ নেতার লুটিয়ে পড়ার ভিডিও ভাইরাল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের পায়ে লুটিয়ে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। মইনুল ইসলাম নামের ওই নেতা চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। ভিসির পায়ে পড়ার সেই দৃশ্যের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চাকরির জন্য’ এই ছাত্রলীগ নেতা সেদিন ভিসির পায়ে পড়েছিলেন। এই বিষয়টি নিয়ে চবি ক্যাম্পাসেও আলোচনা চলছে। তবে ছাত্রলীগ নেতা মইনুল বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। 

চবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ সকাল ৮টার দিকে ভিসি শিরীণ আখতারের বন্দর নগরীর বাসার নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। চবি ভিসি হিসেবে নিজের শেষ কর্মদিবসের দায়িত্ব পালন করতে সেসময় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন শিরীণ। লিফট থেকে ভিসি বের হতেই তার পায়ে লুটে পড়েন চবি ছাত্রলীগ নেতা মইনুল। 

ভিডিওতে দেখা যায়, ভিসির পায়ে পড়ে কিছু একটা অনুরোধ করছিলেন মইনুল। তবে তখন ভিসি শিরীণকে চিৎকার করে সরে যেতে দেখা যায়। এরপর ভিসি গাড়িতে উঠেন। তখন ছাত্রলীগ নেতারা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ভিসিকে তাদের কথা শোনার অনুরোধ করতে দেখা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ভিসি শিরীণ গাড়ি থেকে আর নামেননি। দ্রুত তিনি স্থান ত্যাগ করেন।

ভিডিও ফুটেজে চবি শাখা ছাত্রলীগের আরও দুই সাবেক সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ও কেএম রোমেল হোসেনকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা মইনুল বলেন, চাকরির জন্য ভিসি শিরীণের পায়ে পড়েননি তিনি। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি চবি ভিসি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত বন্ধের জন্য ভিসি ম্যাডামকে অনুরোধ করতে সেখানে গিয়েছিলাম।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ভিসি শিরীণের বাসায় যাওয়া মইনুল ও আরও দুজন আমার কমিটিতে সহ-সভাপতি ছিলেন। তারা যা করেছেন- তা অগ্রহণযোগ্য। সাবেক ভিসি শিরীণ চবিতে নিয়োগের ব্যবসা খুলে বসেছিলেন, যা আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন অডিও ক্লিপের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এজন্য কিছু ছাত্রনেতা ভেবেছিলেন এটি একটি সুযোগ যেভাবেই হোক একটা চাকরি বাগিয়ে নিতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ভিসি শিরীণের শেষ কার্যদিবসে মইনুল হয়তো ভেবেছিলেন এটাই শেষ সুযোগ। তাই তিনি মরিয়া হয়ে ভিসির পায়ে পড়েন, যা একজন ছাত্রনেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে লজ্জাজনক।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: