• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ছয়দফা দাবিতে মাউশিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অবস্থান কর্মসূচী

প্রকাশিত: ২২:২৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ছয়দফা দাবিতে মাউশিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অবস্থান কর্মসূচী

পদসৃজন, পদোন্নতি, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর প্রাঙ্গনে সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় অবস্থান কমসুচি যা চলে বেলা দেড়টা পযন্ত।

কমসুচিতে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশ নেন। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন সমিতির নেতারা। 

অবস্থান কর্মসূচিতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, পদোন্নতির জন্য আমাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। পদসৃজন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ১২ হাজার ৪৪৪টি পদসৃজন ৯ বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এখন আবার জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় বলছে আবার আগের পদ্ধতিতে করা হবে। তাহলে এত দিন কেন ঝুলিয়ে রাখা হলো? আমরা ধারণা করছি, আবারও একটা দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্যাডার কম্পোজিশন এখনো অক্ষত আছে। যদি সংস্কার করতে হয় তাহলে সেটা কারা করবে? অবশ্যই যারা শিক্ষা ক্যাডারে আছেন তাদের পরামর্শে হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদেরই দায়িত্ব দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে এমনটাই আছে। গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান কমে গেছে। শিক্ষণ ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এটা হচ্ছে ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে। শিক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম, দায়িত্ব শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যক্তিদেরই দিতে হবে। আমাদের ঘর থেকে তো আমাদের সড়িয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের ঘরে আমরাই থাকবো।

শিক্ষক সঙ্কটে শিক্ষার মান ক্রমাগত ব্যহত হচ্ছে জানিয়ে সমিতির সভাপতি বলেন, শিক্ষক সঙ্কট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পদ সৃজন না হওয়ায় শিক্ষক নিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ শিক্ষকরাই গড়ে তুলবেন। কিন্তু তাদের প্রাপ্য সম্মান, অধিকার যদি না দেওয়া যায় তাহলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। পদসৃজন করেন, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেন। 

অনেক শিক্ষকেরা তাদের যথাযথ অধিকার ও মর্যাদা না পেয়ে শিক্ষকতা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা ক্যাডারে জুনিয়র সহকর্মীরা তাদের অধিকার না পেয়ে চরম হতাশায় আছেন। অনেকেই মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছেন। তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন।

সমিতির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্ল্যা বলেন, পদোন্নতির মতো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করা হয়। পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জনের পরও বছরের পর বছর শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না।

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহসভাপতি প্রফেসর মো. দবিউর রহমান, প্রফেসর মো. মামুন উল হক, প্রফেসর ড. আ জ ম  রুহুল কাদীর, যুগ্ম মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার, প্রচার সচিব প্রফেসর মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর, আইন সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন: