কারামুক্ত হয়েই ক্যাম্পাসে গিয়ে পরীক্ষা দিলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিনের পাঁচদিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সরাসরি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে পরীক্ষায় বসেন। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া পরীক্ষায় দেড় ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১১ টায় পরীক্ষায় বসেন খাদিজা।
খাদিজার বোন সিরাজুম মনিরা বলেন, খাদিজার সেমিস্টার নষ্ট হয়েছে। সে ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হলেও এখন ১৬ তম ব্যাচের সাথে চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়েছে। খাদিজার গতকাল রাতেই মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষ কালকে মুক্তি দেয়নি। আজকে সকাল ৯ টায় মুক্তি দিয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর ক্যাম্পাসে আসতে আসতে সাড়ে ১১ টা বেজেছে।
এর আগে খাদিজার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ গত (১৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
মুক্তির পর খাদিজা কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে থেকে গণমাধ্যমকে জানান, বিনা দোষে প্রায় ১৫ মাস জেল খাটলাম। এর চেয়ে বেশি কিছু আর এখন বলতে চাই না। বলার মতো মন-মানসিকতা আমার নেই। আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, পুরোটাই অন্যায়।
খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করে। একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়।
গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: