• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের ২ নেতার বহিষ্কার বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল

রুবেল হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ফন্ট সাইজ
জাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের ২ নেতার বহিষ্কার বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল

ছাত্র ইউনিয়নের ২ নেতার বহিষ্কার বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কলা ও মানবিকী অনুষদের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে ধর্ষণ ও স্বৈরাচার বিরোধী গ্রাফিতি আঁকায় ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে এক বছরের বহিষ্কারের ঘটনায় মশাল মিছিল করেছে আন্দোলনকারীরা৷ 

বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি মশাল মিছিল বের করেন তারা৷ এসময় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন ও পরিবহন চত্বর ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়৷ 

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের কোষাধ্যক্ষ ওমর ফারুক স্বাধীনের সঞ্চালনায় নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন৷ সমাবেশে তারা সংগঠনটির সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদী হয়ে মামলা করার দুরভিসন্ধি বাতিলের দাবি জানান তারা৷

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন,'বঙ্গবন্ধুর চেতনা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পুঁজি না। বঙ্গবন্ধু সবার৷ গ্রাফিতি থাকলে সেখানে মুছে আরেকটি করা হবে এটাই নিয়ম এবং এটাই বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে আসছে৷ দেয়াল লিখন বা গ্রাফিতি আঁকার দায়ে কোনো স্বাধীন দেশে এমন সিদ্ধান্ত নিতে দেখিনি। অথচ এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দ্রুত গতিতে বহিষ্কার করেছে। অথচ সেই প্রশাসন যারা কিনা যৌন নিপীড়ন, দুর্নীতি-অনিয়ম, মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারছে না। যারাই এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের মুখ টিপে ধরা হচ্ছে৷ চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন, মাস্টারপ্ল্যান আন্দোলন থেকে যাতে আমাদের চোখ সরে যায়, এজন্য এমন বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র-মৈত্রীর সংগঠক সৌমা ডুমুরি বলেন,'বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সময়ে অনেক অন্যায়-অপকর্মের অনেক ঘটনা ঘটে, কিন্তু সেগুলোর কোনো বিচার হয়না। অথচ একটা প্রতিকৃতি মুছে ফেলার মতো তুচ্ছ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কত দ্রুত শাস্তি দিয়ে দিল। প্রতিকৃতি মুছে ফেলার মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রশাসনের এমন বহিষ্কারকে আমি ধীক্কার জানাই৷ উপাচার্য নূরুল আলমকে এই বহিষ্কারের যোগ্য উত্তর দিতে হবে এবং বহিষ্কারাদেশ বাতিল করতে হবে, নয়তো জাহাঙ্গীরনগরের মাটিতে দুর্বার আন্দোলন চলবে।' 

ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের সংগঠক সাদিয়া মুন বলেন, 'ছাত্রলীগ সবসময় চাটুকারিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ প্রশাসনের কোনো দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে তারা কখনো কথা বলেনা৷ যিনি অনশনে বসেছে সে নিজেও একজন অছাত্র। সেখানে প্রশাসন কিভাবে এমন একজনের দাবির প্রেক্ষিতে এত বড় প্রদক্ষেপ নিতে পারে৷ পোস্টারের যদি মেয়াদ চলে যায়, সেই পোস্টার কি আমি তুলে ফেলতে পারবো না? তাহলে আমাকে কি মামলা দেয়া হবে? এভাবেই স্বৈরাচারী প্রশাসন তাদের মুখোশ উন্মোচন করছে৷' 

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান করার পর আন্দোলনকারীদের সাথে দেখা করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য(শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তাফা ফিরোজ, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা উপাচার্য ছাড়া বাকিদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়৷ এরপর আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সাথে কথা বলেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন,'বহিষ্কার ও মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। তাই সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা আমার এখতিয়ারের নেই৷ তোমাদের যে দাবি আছে, সেগুলো লিখিত আকারে আমাকে দাও। তারপর আমরা প্রশাসনিক বডির সাথে আলোচনা করে বিষয়টা দেখবো।' 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: