নিজ মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপে আপত্তি শিক্ষামন্ত্রীর
সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে আদালতের দেওয়া নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর আপিল করবো। শিক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার নির্বাহী ক্ষমতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, এখানে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপ না করলেই ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব জেলায় তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। যে জেলায় তাপ ৩৮ এর উপর উঠছে না সেসব জেলায় স্কুল বন্ধ দেওয়ার যৌক্তিকতা দেখছি না। তবে হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা পর্যালোচনা করে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা আপিল করবো। শিক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারে, যার সিদ্ধান্ত তাকে নিতে দেওয়া উচিত। সবকিছু ঢাকা কেন্দ্রিক ভাবলে হবে না। যে জেলায় তাপ কম সে জেলার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা পাবে না এটা হতে পারে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ চাওয়া বাঞ্ছনীয় নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। সবসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপর আদালতকে কেন সিদ্ধান্ত দিতে হয় বলেও প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, জানুয়ারিতে নতুন কারিকুলামে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কারণে সেভাবে পড়ানো যায়নি। রমজানেও অনেকে বন্ধ চেয়েছেন। কিছুদিন পর হাওর বা চরে বন্যা হলে সেখানকার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এত বন্ধ দিলে ওইসব অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কখন পড়বে? এখন সিলেটে বৃষ্টি হচ্ছে, চট্টগ্রামে তাপমাত্রা কম সেগুলোতে ক্লাস চলতে আমি বাধা দেখি না। যেসব জেলায় তাপমাত্রা বেশি আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে শুধু সেসব জেলায় ক্লাস বন্ধ রাখা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, স্কুল বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ধান কাটতে যায়, পরিবারের নানান কাজ করে। এই গরমে স্কুলে যাওয়ার চেয়েও এসব কাজ আরও ক্ষতিকর।
বিভি/কেএস/টিটি
মন্তব্য করুন: