শহীদ আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরণের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর একাডেমিক ও নৈতিক শৃংখলার তত্ত্বাবধান ও রক্ষার লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরনের লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করেন তিনি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। কেউ যদি যুক্ত থাকে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় গেজেট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন গত ১৬ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এ হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীঘ্রই মামলা রুজু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা আচরণ বিধি ২০১৮, মোতাবেক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত তাদের ছুটি মন্জুর না করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উপাচার্য আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক, ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৭২ জন শিক্ষার্থী অভিযুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণ বিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরমধ্যে যে সকল শিক্ষার্থী ছাত্রত্ব শেষ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে। যাদের ছাত্রত্ব আছে তাদের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। এরপর সারাদেশে আন্দোলন বেগমান হয়ে ওঠে এবং গত ৫আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার।##
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: