এবার জাবির ৯ শিক্ষক ও ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী বহিষ্কার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে হামলায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে জাবির সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পেনশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাবির দুই কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২৮৯ শিক্ষার্থীকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় আরও ১০ শিক্ষকের সংশ্লিষ্টতা ও অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা শেষে সোমবার রাত ৩টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।
সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষকরা হলেন— সাবেক উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ রঙ্গন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার, তৎকালীন প্রক্টর আলমগীর কবির, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজউল হাসান ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হুসনিয়ারা।
যে ১০ শিক্ষকের জন্য স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠিত হয়েছে তারা হলেন— পলাশ সাহা, শফি মোহাম্মদ তারেক, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মনির উদ্দিন শিকদার, মহিবুর রউফ শৈবাল, আনোয়ার খসরু পারভেজ, সাইফুর রহমান ও অধ্যাপক এ এ মামুন।
বহিষ্কার হওয়া ২৮৯ শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা যায়নি। এদের মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের সনদপত্র স্থগিত ও স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের ফল স্থগিত বা বিশেষ ক্ষেত্রে সনদপত্র স্থগিত এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: