হাবিপ্রবি’র সাবেক ২ ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

ছবি: আবুল কাসেম ও কামরুজ্জামান
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. এম. কামরুজ্জামান এবং ড. মু. আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম,স্বজনপ্রীতি ও ভর্তি বাণিজ্য, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিগত মঙ্গলবার (১১ই মার্চ) তথ্য সরবরাহের জন্য দুদকের দিনাজপুর জেলা উপপরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে বিগত ২৩শে মার্চের মধ্যেই সত্যায়িত সকল তথ্য বা ডকুমেন্টস সরবাহের জন্য বলা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ড. আবুল কাসেমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও ভর্তিবাণিজ্য, বড় বড় নির্মাণ প্রকল্পে কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন ল্যাবে ইকুইপমেন্ট, ইলেকট্রনিকসামগ্রী ও আসবাবপত্র ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া সদ্য সাবেক ভিসি ড. এম কামরুজ্জামানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদক দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতাউর রহমান সরকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
দুদকের চিঠি ও সময় চেয়ে নেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির নয়া দিগন্তকে জানান, ‘দুদকের দুটি চিঠি হাতে পেয়েছি। এ ছাড়া দুদকের তদন্ত কমিটি আমাদের সঙ্গে দেখা করে দুই সাবেক ভিসির বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে নথি চেয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা এপ্রিল মাসটা সময় চেয়েছি।’
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ড. মু. আবুল কাসেম ৬ষ্ঠ ভিসি হিসেবে এবং ড. এম. কামরুজ্জামান সপ্তম ভিসি হিসেবে ২০২১ সালের ৩০শে জুন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: