• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পদত্যাগের দাবিতে এবার ববি উপাচার্যের বাসভবনে তালা

জয়নাল আবেদীন,ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:১৫, ৭ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
পদত্যাগের দাবিতে এবার ববি উপাচার্যের বাসভবনে তালা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল প্রশাসনিক দপ্তরগুলো তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পর আজ বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। টানা চতুর্থদিনের মত এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা।

আজ বুধবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ বা অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এর আগে শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার সহ চারদফা দাবি আন্দোলন করেছিলেন। চারদফা দাবি যথাযথ সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলন চলাকালীন সময়ে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেই কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সুজয় শুভ বলেন, ‘এ মুহূর্তে বেশিরভাগ ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা চলমান। এ কারণে তারা আন্দোলনে আসতে পারছে না। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আর আমরা যারা আন্দোলনে রয়েছি তারা একাডেমিক কার্যক্রমে কোনও ধরনের বাধা না দিতে পারি না।’

সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ করে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচিসহ উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তারা কোনোভাবেই এ আন্দোলন থেকে সরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। উপাচার্যের পদত্যাগই আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠানোর একমাত্র পথ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার পর থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউন ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতে আজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ গ্রাউন্ড ফ্লোরের সামনে ঘোরাঘুরি করে তারা বাসায় ফিরতে বাধ্য হন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি ও চারদফা দাবি নিয়ে দীর্ঘ ১৮ দিন আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গেলে ভিসির পক্ষ থেকে বৈঠকে না বসায় পরবর্তীতে ওই আন্দোলন চলে যায় এক দফা দাবিতে। যদিও উপাচার্য চারদফার শেষ দিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।তবে একাডেমিক কার্যক্রমে কোনও বাধা দিচ্ছেন না আন্দোলনরতরা।

মন্তব্য করুন: