নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের অর্ধ যুগপূর্তি উদযাপন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাব তাদের অর্ধ যুগপূর্তি ও সপ্তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেছে। শুক্রবার (৯ মে) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনের শুরুতে একটি র্যালি গেস্ট হাউজ ‘সেতুবন্ধন’ থেকে শুরু হয়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, নজরুল ভাস্কর্য হয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভার শুরুতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম কেক কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, দৈনিক দেশ রূপান্তরের অনলাইন ও ডিজিটাল এডিটর এ কে এম মঞ্জুরুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক মো. আশরাফুল আলম। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জিহাদুজ্জামান জিসান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন।
আলোচনা সভায় অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে এবং সম্মাননা স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকতার ধারাতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। আমরা যখন এই পেশায় যুক্ত হয়েছিলাম, তখন বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্য সংবাদ ছিল মূল ভিত্তি। এখন ইলেকট্রনিক, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে সাংবাদিকতা এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্ম এই পরিবর্তনকে যথাযথভাবে ধারণ করবে। তবে সাংবাদিকতা কখনোই শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নয়। একজন সাংবাদিককে পাঠকপ্রিয়, অনুসন্ধিৎসু এবং জ্ঞানার্জনে আগ্রহী হতে হয়। তাই অনেক কবি-সাহিত্যিকও এই পেশায় যুক্ত হয়েছেন। কারণ, একজন প্রকৃত সাংবাদিককে গভীরভাবে ভাবতে হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কে এম মঞ্জুরুল হক বলেন, আমি সাংবাদিকতার ছাত্র নই, আগ্রহ থেকেই এই পেশায় এসেছি। সাংবাদিকতা শুধুমাত্র একটি পেশা নয়, এটি সমাজ ও বাস্তবতার সঙ্গে আমাদের পরিচয় করায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা বাস্তবতা বোঝার এবং তাতে সক্রিয় অংশগ্রহণের একটি বড় মাধ্যম। আমাদের দেশে অনেক নামকরা সাংবাদিক আছেন, তবে তাদের কেউ কেউ এই পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকতা করতে হলে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করতে হবে। তবেই এ পেশার মর্যাদা অটুট থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চে প্রেসক্লাবের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরাও অনেক উপভোগ করেন।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: