ধীরগতিতে মাঠ সংস্কারে দুর্ভোগে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটির সংস্কার কাজ চলছে চরম ধীরগতিতে। ফলে নিয়মিত খেলাধুলায় ব্যাঘাত ঘটছে আর শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়। তিন মাসব্যাপী সংস্কার কাজের ইতোমধ্যে দুই মাস কেটে গেছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির দেখা মেলেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ৯ মে মাঠ সংস্কারের লক্ষ্যে পরিকল্পনাটি গ্রহণ করে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে আগাছা পরিষ্কারের কাজ কিছুটা সময় মত হলেও বালি ফেলার কাজ কাঙ্ক্ষিত গতিতে হয়নি। পরিকল্পনা মোতাবেক মে মাসেই ২২০ ট্রাক বালি মাঠে ফেলার কথা থাকলেও তা সম্পূর্ণ হয়নি এখনো।
শিক্ষার্থীরা জানান সংস্কার কাজে প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাব, ঠিকাদারের গাফিলতি এবং যথেষ্ট শ্রমিক না নিয়ে কাজ চালানোর কারণে পুরো প্রক্রিয়া এগোচ্ছে কচ্ছপের গতিতে। এমন অবস্থায় খেলার জন্য মাঠ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আ.র.ম. ওবায়দুল্লাহ বলেন অনেক ক্যাম্পাসে একাধিক খেলার মাঠ রয়েছে কিন্ত আমাদের ক্যাম্পাসে একটি মাত্র মাঠ, সেটিরও দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশার ফলে আমরা আমাদের নিয়মিত খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এই মূহুর্তে আমাদের খেলাধুলার জন্য বিকল্প কোনো মাঠ নেই, তাই প্রশাসনের যথাযথ তত্ত্বাবধানে মাঠের সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত শেষ হয়ে, আমরা আমাদের মাঠ নতুনরুপে ফিরে পাবো এই আশা রাখছি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিলো আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শেষ হবে। তবে গত ৩০ মে থেকে শুরু হওয়া লম্বা ছুটির কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয় এবং তারা জানায় ১৪ই জুন থেকে আবার কাজ শুরু হবে। ছুটি শেষে কার্যক্রম চালু হলেও অগ্রগতি খুবই ধীর।
পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, "বর্ষায় যেসব জায়গা থেকে বালি আনা হয় সেগুলো বন্ধ থাকায় ঠিকাদার বালি সংগ্রহে সমস্যায় পড়েছে। তবে এখন কাজের গতি বাড়ানো হচ্ছে। টানা বৃষ্টি কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়ালেও, আমরা মাঠে থেকেই কাজের তদারকি করছি। আশা করছি দ্রুতই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।"
এদিকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ডঃ মোঃ আশরাফুল আলম জানান, "শুরুর দিকে বৃষ্টির কারণে ঠিকাদার পিছিয়ে যায়। বারবার তাগিদ দেয়ার পরও গতি আসতে সময় লেগেছে। ১৫ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। সব অনুকূলে থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাঠটি শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে।"
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: