রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে এখনো সান্ধ্য আইন আছে?

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, আমার জানামতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এপ্রুভাল নিয়ে কোথাও সান্ধ্য আইন বলে কোনো কিছু নেই। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন রাবি উপাচার্য।
উপাচার্যের এমন মন্তব্যের পর ক্যাম্পাসে সান্ধ্য আইন থাকা না থাকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাধ্যক্ষ পরিষদের অস্পষ্ট অবস্থানও লক্ষ্য করা গেছে।
২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীদের রাত ৯টার মধ্যে হলে প্রবেশ করতে হবে। এর আগে ২০২৩ সালের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে অবশ্য নারী শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের সর্বোচ্চ সময়সীমা রাত ১০টা নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শারমীন হামিদকে ছাত্রী হলে প্রবেশের সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, "আমাদের সান্ধ্য আইন আছে; কিন্তু তা আমরা মেন্টেইন করি না। যদি কোনো শিক্ষার্থীর হলে ফিরতে দেরি হয়, সে সেটা জানিয়ে এন্ট্রি করে যাবে; এই জিনিসটাই আমরা মেন্টেইন করি।"
ড. শারমীন হামিদ সেদিন আরো জানিয়েছিলেন, "এটুকুও যদি না করা হয়, কিছু অভিভাবক আবার আমাদের কাছে এসে বলেন, আমরা কেন এত ছাড় দিচ্ছি?"
তবে গতকাল রাবি উপাচার্যের ক্যাম্পাসে "সান্ধ্য আইন নেই"—এমন মন্তুব্যের পর পুনরায় প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শারমীন হামিদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি।
ছাত্রী হলের সান্ধ্য আইন নিয়ে তাপসী রাবেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তারান্নুম নাজের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এ প্রতিবেদক। কিন্তু হল প্রভোস্টকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও, তিনি সাড়া দেননি।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: