• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসু নির্বাচনে ভোট চাইতে ঢাবি শিক্ষার্থীর বাড়িতে বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক

মো. শরীফুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৭:০৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ডাকসু নির্বাচনে ভোট চাইতে ঢাবি শিক্ষার্থীর বাড়িতে বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক

ডাকসু নির্বাচনে ভোটারদের কাছে অযাচিত ভোট চেয়ে খুলনার এক ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হওয়ার পর বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল-আমিনেরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল-আমিন তার নেতা কর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামের একজন শিক্ষার্থীর নানির বাড়ি গিয়ে ফোন কলের মাধ্যমে ভোট চাইতে দেখা যায়। 

আল আমিনের ফেইসবুকে পোস্ট করা ওই ভিডিও মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে খুলনায় একই ঘটনায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হলে দ্রুতই ভিডিওটা ফেইসবুক থেকে ডিলিট করে দেন আল-আমিন।

ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে পৌঁছে সে শিক্ষার্থীকে ফোন করে বেরোবি ছাত্রদল নেতা আল-আমিন তার নানির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। 

ভিডিওতে আরও দেখা যায় তার নানি মনোয়ার নামের ঢাবির ঐ শিক্ষার্থীকে বলছেন, ও ভাই, ওটি বলে ভোট হবি, তোমার মাস্টার আইছে, কাক দিবার কয়, তাকে এলা ভোটটা দাও। 

এ সময় আল-আমিন আবার ফোনটা তার হাতে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বলেন মনোয়ার, তোমাকে তো বেশি কিছু বলতে হবেনা, আমাদের প্যানেলের দিকে দেখবা তুমি।

এরপর আল-আমিন ঐ শিক্ষার্থীর মামার সাথেও কথা বলতে বলেন।

তার মামা বলেন, শোনো, বাংলা কথা জিড়া, বিএনপির প্যানেল যেটা, হামরাও বিএনপি করি, হামারই ভোট যদি অন্য দিকে যায় তাহলে মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে, হামারই দল ঠকলেও একটা মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে । আবিদুর প্যানেলে ভোট দিবা

এসময় আল-আমিন ফোন হাতে নিয়ে আবার বলেন, মনোয়ার, তোমার বন্ধু-বান্ধব যারা আছে ব্যাচমেটদের সবাইকে একটু দেখিও।

এ ভিড়িও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। 

এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল-আমিন বলেন, ভিডিওতে (১২-১৩ দিন আগের) ঢাবি শিক্ষার্থী (ফোন কলে) মনোয়ার আমার কোচিংয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।  ওর মামা আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ওদের বাসায় আলোচনার এক পর্যায়ে ডাকসু নিয়ে কথা হয় এবং ওর মামা আমাকে ফোন দিতে বলে। আমি, ওর নানি এবং ওর মামা কথা বলি, যা ছিলো অত্যন্ত আনন্দদায়ক মুহুর্ত। এটি আবেগাপ্লুত হয়ে ভিডিও করে আমাদের এক ছোট ভাই।কিন্তু এই নির্ভেজাল বিষয়টিকে নিয়ে বটবাহীনি  জাতীয়ভাবে নোংরামি শুরু করেছে যা এদের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। এদের প্রতি ঘৃনা ছাড়া আর কিছু আসেনা এখন। এদের পরাজয়টা এখন দেখার বাকি, ইনশাআল্লাহ।
 

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন: