• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাকসুর ভোট গণনায় ব্যাপক দেরি, শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ

প্রকাশিত: ১৯:২০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
জাকসুর ভোট গণনায় ব্যাপক দেরি, শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ

সিনেট ভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও গণনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ফলাফল ঘোষণায় ব্যাপক দেরি হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। 

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১০টা থেকে গণনা শুরু হলেও শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সারাদিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেও ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব একেএম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে গণনা শেষ হবে। তবে পরে তিনি জানান, রাতে ফলাফল ঘোষণা হতে পারে।

ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, একটি পক্ষ ভোট বানচাল করার চেষ্টা করছে।

একজন শিক্ষার্থী বলেন, নির্বাচন বানচাল কোনোভাবে মেনে নেয়া হবে না। সুষ্ঠু ভোটকে বানচাল করার চেষ্টা চলছে। ফলাফল দিতে দেরি হলে আরও উত্তেজনা তৈরি হবে।

অন্যদিকে, ছাত্রদলপন্থী এক ভোটার বলেন, ছাত্রদলকে ভোট দিলাম, আর তারা ভোট বর্জন করল। এতে আমার ভোট নষ্ট হলো। দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর জেলার পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তারা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে পারছেন না কখন ভোটগণনা শেষ হবে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী উম্মে হাবীবা বলেন, এভাবে অপেক্ষা করতে করতে নির্বাচনের আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে দ্রুত ফল প্রকাশ করতে হবে।

অন্যদিকে, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ জানান, প্রতিটি হলে ভোট গণনায় প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগছে। হল সংসদের মোট ১৫টি পদ, এরপর জাকসুর ২৫টি পদ গণনায় দ্বিগুণ সময় লাগবে। তাঁর মতে, বাকি থাকা প্যানেলগুলোর ঐকমত্যে ওএমআর পদ্ধতিতে দ্রুত ফলাফল গণনা করা উচিত।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন, যার মধ্যে প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ছিলেন ৯ জন এবং জিএস পদে ৮ জন। 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: