একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই: চাকসুর নির্বাচন কমিশনার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই।’ বুধবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় নির্বাচনে জার্মান থেকে কালি আনা হয়। ব্যবহারের পর বাকিটা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি, সেই কালি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। আমরা নিয়ম রক্ষার জন্য কালির ব্যবস্থা করেছি। আমাদের এখানে এই কালি ব্যবহার জরুরি না, আমাদের ভোটারের পরিচয় তো আইডি কার্ড, ভোটার নম্বর ও ভোটার তালিকায় থাকা ছবিসংবলিত তথ্য। এর মাধ্যমে ভোটারদের পরিচয় ভেরিফাই করা হচ্ছে। যারাই ভোটকেন্দ্রে ঢুকবে তার ছবিসংলিত তথ্য দেখে নিশ্চিত করা হচ্ছে যে তিনি আসল ভোটার। তাই, একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথমবারের মতো ভোট দিতে ব্যবস্থা করতে পারাটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এখনো পর্যন্ত ভালোভাবে ভোট চলছে। আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। আমরা ভোট নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছি।
এর আগে ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ও শিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি। সকাল সাড়ে ১০টায় আইটি ভবন কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে তারা এই অভিযোগ করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: