চাকসুতে কারচুপির অভিযোগ, একটি প্যানেলের নির্বাচন বর্জন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের ‘রেভলিউশন ফর স্টেট অব হিউম্যানিটি’ প্যানেল। একই সঙ্গে আরও কয়েকটি প্যানেলও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ তুলেছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে কলা অনুষদ ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন প্যানেলটির ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী কেফায়েত উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন বর্জন করছি, কারণ এখানে শিবিরপন্থী প্যানেলকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা একটি পুনর্নির্বাচন চাই, যেখানে সব প্যানেলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে।’
এ ছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত ‘দ্রোহ পর্ষদ’ এবং ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে।
এই বিষয়ে ‘দ্রোহ পর্ষদ’-এর ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী বলেন, ‘এই নির্বাচন কার্যত একক প্যানেলনির্ভর হয়ে পড়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল অংশগ্রহণমূলক ও ন্যায্য নির্বাচন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযুক্ত প্রার্থীদের বহিষ্কার করতে হবে এবং অনিয়মের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ভোট গণনা বন্ধ রাখতে হবে। কোনও কারচুপিকে আমরা ছাড় দেব না। প্রয়োজন হলে নতুনভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’
বিকাল সাড়ে চারটায় শেষ হয় চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে গণনা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আজকের মধ্যেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: