চবি ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে না পোষ্য কোটা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এবার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানদের পোষ্য কোটা থাকছে না। এছাড়াও এবারের পরীক্ষায় শিথিল করা হয়েছে ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভায় আবেদনের যোগ্যতা ও আসন কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত, তারিখ পরিবর্তনের পাশাপাশি পোষ্য কোটা বাতিলেরও সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২ জানুয়ারি বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ ও প্রকৌশল অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ৩ জানুয়ারি, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ৯ জানুয়ারি আর কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ১০ জানুয়ারি। অন্যদিকে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগ ভুক্ত ‘ডি–১ উপ–ইউনিটের’ পরীক্ষা হবে ৫ জানুয়ারি, ‘বি-১ উপ-ইউনিটের’ পরীক্ষা হবে ৭ জানুয়ারি এবং ‘বি-২ উপ-ইউনিটের’ পরীক্ষা হবে ৮ জানুয়ারি।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতার জিপিএ গত বছরের তুলনায় সব ইউনিটে শূন্য দশমিক ৫ কমছে। ‘এ’ ইউনিটে এবার আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক (চতুর্থ বিষয়সহ) মিলিয়ে মোট জিপিএ ৭.৭৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ইউনিটে আবেদন করতে আলাদাভাবে মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৪ ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে। কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করতে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ ৭ থাকতে হবে। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জিপিএ লাগবে ৭.৫০।
অন্যদিকে, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭.৫০। এখানে বিভাগ রয়েছে ছয়টি। সব গ্রুপের শিক্ষার্থীরাই ‘ডি’ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এই ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭ থাকতে হবে। এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণে এবারের পরীক্ষায় শিথিল করা হয়েছে ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা। এবার ভর্তি পরীক্ষায় ৯ ধরনের কোটা রাখা হয়েছে। তবে, বাতিল করা হয়েছে পোষ্য কোটা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানেরা এই কোটা পেতেন এতো বছর ধরে। বহাল থাকা ৯টি কোটা হলো মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, বিদেশি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, অ-উপজাতি কোটা যা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালি, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বিকেএসপির খেলোয়াড়, পেশাদার খেলোয়াড় ও দলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: