শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে ঢাকা কলেজে গ্রাফিতি অঙ্কন
ঢাকা কলেজে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির স্মরণে গ্ৰাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা কলেজের দেয়ালে এ গ্ৰাফিতি অঙ্কন করা হয়। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘দাসত্ব যে জমিনের নিশ্চল নিয়তি, লড়াই-ই সেখানে সর্বোত্তম ইবাদত।’
শহীদ ওসমান হাদির হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে টানা তিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অনশন করছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে গ্ৰাফিতি অংকন করছেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা গ্ৰাফিতি অঙ্কন করেছেন।
এদিকে আজ বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে।
ইনকিলাব মঞ্চ ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি এস বি সৈকত বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ভাই বলেছিলেন, ‘জান দেবো, কিন্তু জুলাই দেবো না।’ এই কথাটি শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অটল অবস্থানের প্রতীক। তার রেখে যাওয়া সেই জুলাইয়ের স্পৃহা ও চেতনাকে ধারণ করতেই আমরা হাদি ভাইয়ের ওপর গ্রাফিতি অঙ্কন করেছি, যাতে নতুন প্রজন্ম তার আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে। হাদি ভাইয়ের আত্মত্যাগ আমাদের দায়িত্ববোধকে আরও দৃঢ় করেছে অন্যায়ের সামনে মাথা নত না করার শপথই তার প্রকৃত সম্মান।
তিনি আরও বলেন, তার হত্যার সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই দাবি ও সংগ্রাম চলমান থাকবে।

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুলিবর্ষণকারী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে শনাক্ত করা হয়েছে; ওই আসামি ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।
ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে গত সোমবার তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ই ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি শহীদ হন। গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
বিভি/এআই




মন্তব্য করুন: