বুয়েটে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে রিট জারি

ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য সবাই দেশের সবচেয়ে ভালো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হতে চায়। কিন্তু এবার শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গেছে হাজারো শিক্ষার্থীর। এর কারণ এবারের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ‘নজিরবিহীন’ পদ্ধতিতে ছাঁটাইয়ের ব্যবস্থা করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে গড় নম্বর ৯৩ চাওয়া হয়েছে। যার কারণে সব বিষয় মিলিয়ে মোট নম্বর বেশি থাকলেও পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে গড় নম্বরের যোগ্যতায় পিছিয়ে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারছেন না। ভর্তি পরীক্ষার এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত কোনোমতেই মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার কারণে একপ্রকার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে করোনা মহামারির পর দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বুয়েটের এমন ‘কঠোর সিদ্ধান্তে হতাশ অভিভাবকরা।
বুয়েটের নতুন নিয়মকে বৈষম্য ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে ২০২১-২০২২ সালের স্নাতক ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ গত ১৯ এপ্রিল এ রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা হিসেবে পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন বিষয়ে গড় নম্বর ৯৩ চাওয়া কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও বুয়েটের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি কেনো বাতিল ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। রিটে বুয়েটের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রিটকারি আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘বুয়েটে ২০২১-২০২২ সালের স্নাতক ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই বছর পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে গড় নম্বর ৯৩ চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞাপন অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে মোট ৪০০ নম্বরের মধ্যে ৩৭২ নম্বর পেতে হবে। এর অর্থ ওই দুই বিষয়ে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে, যা অযৌক্তিক এবং গ্রেড পয়েন্ট এভারেজের (জিপিএ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে মোট নম্বর বেশি থাকলেও পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে গড়ে ৯৩ নম্বর না থাকায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। তিনি এটাকে মামার বাড়ির আবদার নাকি মগের মুল্লুক বলে অভিহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে বুয়েটের এই বিজ্ঞপ্তি সাংঘর্ষিক। কেননা সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তির কারণে সব ছাত্র-ছাত্রী চাইলেও ভর্তি পরীক্ষা অংশ নিতে পারবেন না। তাই এ বিজ্ঞপ্তি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
তিনি জানান, ভর্তির বিজ্ঞপ্তিটি সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদের (৩) উপধারা মতে, কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোনো বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোনো নাগরিককে কোনোরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না। (৪) নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।
এ সময় তিনি দাবি করেন, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো নাগরিককে বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাবে না। এছাড়াও সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের আশ্রয় লাভ এবং আইন অনুযায়ী ও কেবল আইন অনুযায়ী ব্যবহার লাভ যেকোনো স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষতঃ আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
আবেদনকৃত রিটে তিনি বলেন, বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞাপন অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে মোট ৪০০ নম্বরের মধ্যে ৩৭২ নম্বর পেতে হবে। এর অর্থ ওই দুই বিষয়ে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে, যা অযৌক্তিক এবং গ্রেড পয়েন্ট এভারেজের (জিপিএ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই অপ্রীতিকর এ বিজ্ঞাপনটি অবৈধ ঘোষণা করা উচিত।
বুয়েটের বিজ্ঞপ্তি সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইনের দ্বারা আরোপিত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে কোনো পেশা বা বৃত্তি-গ্রহণের কিংবা কারবার বা ব্যবসায়-পরিচালনার জন্য আইনের দ্বারা কোনো যোগ্যতা নির্ধারিত হইয়া থাকিলে অনুরূপ যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি-গ্রহণের এবং যে কোনো আইনসঙ্গত কারবার বা ব্যবসায়-পরিচালনার অধিকার থাকিবে।
রিটকারি আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ আরও বলেন, এ দুটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে কোনো নিয়ম করতে হলে আইন করতে হবে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ চাইলে ১৯৬১ সালের প্রকৌশল অধিদপ্তর আইন অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে এ নিয়ম করতে পারতো। কিন্তু তাঁরা তা না করে নিজেদের মনগড়া একটি নিয়ম তৈরি করেছে। এ অবস্থায় বুয়েটে ভর্তির স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
করোনা মহামারির কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় এবার ২০২১ সালের এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা অনেক দেরি করে আয়োজন করা হয়। যার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এবং পরীক্ষার সময় ও নম্বর কমিয়ে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। অন্যান্য বিষয়গুলোতে বিগত বছরের শিক্ষার্থীদের এসএসসি-সমমান ও জেএসসি-সমমানের ফলের ওপর নম্বর ম্যাপিং করে ফলাফল দেওয়া হয়। এ কারণে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় গণিতে ৮৫ এবং পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে গড়ে ৯০ নম্বর চাওয়া হতো। তবে এবারের পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে গড়ে ৯৩ চাওয়া হয়েছে। যার জন্য অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এক-দুই নম্বরের ব্যবধানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সূচনা সমাদ্দার। তিনি গণিত বিষয়ে ২০০ নম্বরের মধ্যে ১৯৮ এবং অন্যান্য বিষয়ে ৯৫ নম্বরের বেশি পেলেও রসায়নে ৯২ পাওয়ায় বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। যার জন্য তিনি সহ তাঁর পরিবারের সদস্যেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এরকম আরো অনেক শিক্ষার্থীর ব্যাপারে জানা গেছে যারা ১, ২ নম্বরের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে সূচনা বলেন, এমন পরিস্থিতির মধ্যে তিন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছি। পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন করেও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছি না। এ সময় ভর্তি পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে তাঁর অনেক সহপাঠীরও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
ভর্তি পরীক্ষার এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দুই বছর আগে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিটা সেভাবে নিতে পারে। হঠাৎ করে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎকেও নষ্ট করে দেয়।
আরেক অভিভাবক বলেন, আমার সন্তান তার বন্ধুদের কাছে মুখ দেখাতে পারছে না। অনেক স্বপ্ন ছিলো ছেলেটা বুয়েটে ভর্তি হবে। এ জন্য দিনরাত পড়ালেখা করেছে। এখন ভর্তি পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে দুর্যোগকালীন সময়ে বুয়েটের এমন সিদ্ধান্ত কাঙ্ক্ষিত নয়। তারা দ্রুত এটি পরিবর্তন করে গত বছরের মতো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। এ সময় ভর্তি পরীক্ষায় আগের নিয়ম বাস্তবায়ন না হলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পড়ালোখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুয়েটের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু সিদ্দিক নতুন ভর্তি পদ্ধতির ব্যাপারে বলেন, আমরা এ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণ করে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া বুয়েটে গত বছরের তুলনায় এবার ৬০টি আসন বাড়িয়ে এক হাজার ২৭৫টি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জিপিএ-৫ পাওয়া ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। পরীক্ষার্থী বেশি হলে আমাদের ওপর চাপ তৈরি হয়, সে কারণে এবার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর, ভর্তি পরীক্ষা বাবদ আদায় করা অর্থ ফেরত দেওয়া হয়ে থাকে। সব দিক বিবেচনায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বুয়েট বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান। এখানে মেধাবীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তির ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ভর্তি পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে বুয়েট ভিসির কিছু করার নেই। তাঁরা বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান উপাচার্য।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রাণালয়ের উচ্চ শিক্ষা শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘ভর্তির প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের আইনানুযায়ী নির্ধারণ করে থাকেন। এবারের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। ফলে এ নিয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্যও নেই।’
উল্লেখ্য, বুয়েটে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিক ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ জুন। এরপর পরবর্তী ধাপে প্রাথমিক ধাপে উত্তীর্ণদের নিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে ১৮ জুন।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: