• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

প্রাথমিকে শিক্ষক পদায়নে অর্ধ কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
প্রাথমিকে শিক্ষক পদায়নে অর্ধ কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের পদায়নে রামরমা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কাঙ্খিত বিদ্যালয়ে পদায়নের জন্য প্রত্যেক শিক্ষককে গুনতে হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কিছু অসাধু শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একশ্রেণির কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পদায়নের নামে প্রায় অর্ধকাটি টাকা হাতিয়ে  নিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।  

জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২০ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ৪৬৩ জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে পদায়নের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের ২২ জানুয়ারি তাদের মধ্য থেকে সৃষ্টপদ ও শূণ্যপদ ৪৩৭ জনকে পদায়ন করা হয়। এ সুযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী বিনয় ভূষণ সরকার ও বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু অসাধু শিক্ষক রমরমা বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। কাঙ্খিত বিদ্যালয়ে পদায়নের জন্য জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। 

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে নিম্মমান সহকারী হিসেবে যোগদান করেন বিনয় ভূষণ সরকার। এরপর তিনি উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতি লাভ করলেও এখানেই থেকে যান। দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় একই অফিসে কর্মরত থাকায় নানা অনিয়ম ও অসাধু চক্রের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয়েছে তার। পুরো জেলা জুড়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে বিনয় ভূষণ সরকারের। পদায়ন, বদলী, পেনশনসহ শিক্ষকদেরপ্রাপ্ত নানা সুযোগ সুবিধা নিতেও এ সিন্ডিকেটের কাছে তাদের দ্বারস্ত হতে হয় শিক্ষকদর। এ সিন্ডিকেটের কাজে অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ শিক্ষকরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভেদরগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক জানান, ‘শিক্ষকদের পদায়নের জন্য ১০/১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে একটি চক্র। নিয়োগের সময় টাকা লাগে নাই। মনে হয়েছে আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান। কিন্তু পদায়নের সময় আমাদের সেই আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। টাকা কেন দিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষকরা বলেন, ‘সিনিয়ররা স্যারাও বলে টাকা না দিলে অনেক দূরে পোষ্টিং দিবে। সেখানে ৪/৫ বছরেও আর বদলী হতে পারবা না। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়েছে।
 
জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী বিনয় ভূষণ সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সত্য নয়; আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেইনি এবং আমার কোনো সিন্ডিকেটও নেই।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এরশাদ হাসান বলেন, আপনারা সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাস করেন আমরা টাকা নিয়েছি কিনা। যদি অন্য কেউ আমাদের কথা বলে টাকা নিয়ে থাকে তবে সেই দায় দায়িত্ব তো আমার নয়।

বিভি/এইচকে/এইচএস

মন্তব্য করুন: