• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

ইবিতে নিয়োগ বোর্ডের অডিও ফাঁস, উপাচার্যের থানায় জিডি!

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ইবিতে নিয়োগ বোর্ডের অডিও ফাঁস, উপাচার্যের থানায় জিডি!

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন চাকরি প্রার্থীর মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সাড়ে আটটায় দিকে ইবি থানায় জিডি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ফারহা জেবিন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চাকরি প্রার্থীর একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। এতে নিমোক্ত কথোপকথনের উল্লেখ আছে:
ওলি কোথায়?...
আমার সঙ্গে দেখা করে গেলেন না কেন?
ক্যানসেল হইছে... বোর্ডটাই হইছে এ কারণে, এই ইউনিভার্সিটিতে এখন পর্যন্ত দু’জন বা তিনজন নিয়ে কোনোদিন হয় নাই, হ্যাঁ। অ্যাপ্লিকেন্ট তিনজন হলে হয়ে যেত বুঝছেন?
এ কারণে, অন্য কোনো কারণে না। আমরা এই ২৩ তারিখের পরেই আবার এটা পুনঃবিজ্ঞাপনে যাচ্ছি।
না, আমি বলি। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে যে, এই খানে তো জানেন আর কি, জাহাঙ্গীর নগর অবশ্য অনেক পুরোনো। এখানে এই জাতীয় কোনো ইন্সট্যান্স নাই। এতে ডিসএপেন্টমেন্টের কোনো কারণ নাই। এটা আগামী এক দেড় মাসের ভিতরে হয়তো আবার বসে যাবে। কিন্তু অন্তত তিনজন কেন্ডিডেট জোগাড় করতে হবে। পয়সা দিয়ে হলেও। এসব দায়িত্ব আমার, তোমরা অন্তত ভাই দাও পরীক্ষাটা।
এটা রিটেনে সমস্যা হয়নি। তাও তো আপনি ইংরেজিটা লেখেন নাই। তারপরও... টাইম আপনি প্রথমটা ওতো সময় দেবেন কেন? প্রথমটা লেখবেন সাত পাতার মত প্রায়। এই পাগলামি করে কেউ? ওটা বিষয় ছিল না। বিষয় ছিল যে অন্তত তিনজন যদিও থাকতো। তিনজন দিয়ে তো প্রথমে বোর্ড বসাইছিলাম। কিন্তু এতে যে দুইজন এটা তো ধারনায় ছিল না।

না না, কিন্তু সে তো আসেনি আমি তাই বলতেছি। ইন দ্যাট কেস আমরা তো ওই দুইজন যদি আগে এরা আগে এরকম থাকতো তাহলে তো পরীক্ষাটা নিতাম না। সে ক্ষেত্রে আরও একটু হ্যাজার্ড হতো আর কি। এখন যেটা করবেন ইমিডিয়েটলি ৩০ তারিখের পরে হয়তো উইদ ইন অ্যা উইক বা উইদ ইন টেন ডেইজ আমি ঢাকায় যাবো, ঢাকা থেকে আসার পর অ্যাড হয়ে যাবে।

আপনি এটাকে মিট আপ করে এখন যেটা আছে এমনকি ইউজিসির ওটাও আমি এই সিন্ডিকেটে নিবো না। ইউজিসির লেটেস্ট যে নিয়োগের নিয়মটা মানে এপ্লিকেশনের যে যোগ্যতাটা। যাতে আপনি এপ্লাই করতে পারেন। বুঝছেন?

এটায় তো তিনজনের বেশি হয়নাই। একারণে পুনঃবিজ্ঞপ্তি দিতে বলেছি। সেটা আই অ্যাম নট ভেরি শিওর। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে আমি তো সব দেখিনাই। আমরা এটা পুনঃবিজ্ঞাপন বলেছি। কিন্তু যেহেতু পুনঃবিজ্ঞাপন...এপিয়ারকে আমরা ডাকিই নাই। কেন্ডিডেট কম ছিল। কিন্তু আমি তো... তিনজন পূর্ণ ছিল। কিন্তু যে পরীক্ষা দেবে না এটা তো বুঝতে পারিনি। এরপরে যেটা সেকেন্ড বিজ্ঞাপনে একজন হলেও নেওয়া যায়। বুঝতে পারছেন?

এ বোর্ডটা তো এক ধরনের বসে গেছে। এ বোর্ডটা বসে গেছে না? যেমন আগে আবেদন করা ছিল কিন্তু আমরা অনেকদিন হয়ে গেছে, না, ঠিক আছে আমরা নতুন করে চাই। যারা আগে করেছে তাদের প্রয়োজন নাই। কিন্তু এটা তো বসছে। বসলে হয়তো লাগতে পারে। তো সেটা তো আপনার সেটা আছেই। আপনি কিছু মনে কইরেন না। আপনাকে আমি যে প্রশ্ন বলে দিলাম আপনি দেখেন ওখানে ৫টা। আপনি সবসময় বড় লেখার পক্ষে থাকবেন। আপনি সামারাইজ কিছু পারেন না। আপনি এরপরে খালি তিনজন কেন্ডিডেট গোছান। তারা এপ্লাই করবে, আপনি পয়সা দিয়ে দেবেন। ওরা এখানে জাস্ট এপিয়ার করবে আর কিচ্ছু না। ডন্ট গেট ওরিড, হ্যাঁ।

ট্রেজারার তো আমাকেই বলেছে। তিনজন হলে কিন্তু আপনাদের কালকে আসতে বলতাম। বলতাম যে যান। ও কি দেখতামও না। আমি সব নিয়ে রেডি থাকেন। যেদিন হবে দিয়ে দিবেন। তার ঠিক ২১ দিনের মাথায় বোর্ড বসায় দেব।’

এ অডিও ফাঁসের ঘটনায় আজ সাড়ে আটটার দিকে ইবি থানায় জিডি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ফারহা জেবিন নামের একটি ফেইক আইডি থেকে ইবি ভিসির কন্ঠ সদৃশ্য কথোপকথন প্রচারিত হয়েছে। যা ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার আবেদন করা হলো।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানের সঙ্গে এরকম কথা বলেছি। ভাইরাল হওয়া অডিও ফাঁসের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, বক্তব্যগুলো তার কিনা এ বিষয়ে সঠিক উত্তর দেননি।’

বিভি/আইএস/এইচএস

মন্তব্য করুন: