• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আবাসিক হল থেকে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১০:১৯, ২১ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১০:৪১, ২১ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
আবাসিক হল থেকে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক হলের ছাদ থেকে অ্যাপ্রুসি মারমা নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত  মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল আবাসিক হলের পঞ্চম তলার ছাদে অবস্থিত পানির  ট্যাংকির রেলিংয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে ঘটনাটি  জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে  প্রশাসনকে খবর দেন তারা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। 

এর কিছু সময় পরে পরিদর্শনে আসেন সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কর্মকর্তারা, সুধারাম থানা ওসি, এসপিসহ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তকারী সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তার কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল, মানিব্যাগ সহ তার ব্যবহৃত চশমা সংগ্রহ করা হয়।

জানা যায়, অ্যাপ্রুসি মারমা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-২০১৯ সেশনের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার ও গুগড়াছড়ি উপজেলায়। সে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের ২১২ নম্বর রুমে থাকতেন। তার বিভাগের রোল নম্বর ছিলো এএসএইচ১৯২০০৫২।

ছাদ থেকে মরদেহ নামাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও শিক্ষার্থীরাবিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ছোটবেলায় সে তার বাবাকে হারায়। পরবর্তীতে পারিবারিকভবে নানা ধরণের টানা পোড়ানে পড়তে হয়েছে তাকে। অ্যাপ্রুসি মারমা একটি সংগঠনের বৃত্তি টাকা দিয়ে পড়াশোনার খরচ চালাতো বলে জানা গেছে।

অ্যাপ্রুসি মার্মার বন্ধুরা জানান, ‘পারিবারিক টানাপোড়েনের কারণে তাকে মাঝেমধ্যে ডিপ্রেশনে থাকতে দেখা গেছে। পারিবারিক ভাবে তার বাবা না থাকায় আর্থিক সংকটে থাকতে দেখা যেতো তাকে। তবে আত্মহত্যার মতো ঘটনার কোনো লক্ষ্মণ তার মধ্যে দেখতে পায়নি কেউ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন সুমন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ এসে আলমত সংগ্রহ করে পরবর্তীতে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে  লাশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স সংযোগে থানা হেফাজতে পাঠানা হয়েছে। লাশ দাহ করতে তার পরিবারকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সেটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।’

সুধারাম থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান পাঠান বলেন,‘আমরা খবর পাওয়া মাত্রই এসে প্রথমে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি । এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ, চশমাসহ তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে এটি সুইসাইড বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।’

বিভি/এফএ/এইচএস

মন্তব্য করুন: