• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

‘ইউজিসির মন্তব্য জবির আইনের সাথে সাংঘর্ষিক’

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:২১, ২২ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
‘ইউজিসির মন্তব্য জবির আইনের সাথে সাংঘর্ষিক’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বুধবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষকরা জানান, গত ১৫ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটিতে তারা এখনো অটুট আছে। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তটি দ্রুতই সিন্ডিকেট সভায় পাস করে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

তবে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর পরই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বের হয়ে গেলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর।

শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিল সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই আইনের ৪০ নং ধারায় 'বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও  অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিজস্ব ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হবে। তাই ইউজিসির ওই মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। 

তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যারাই ভঙ্গ করবে তাদেরই সেই দায়ভার নিতে হবে। মন্ত্রাণালয় বা ইউজিসি যদি একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয় তাহলে এর দায়ভার তাদেরই নিতে হবে। একাডেমিক কাউন্সিলে নেয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। এরপরও যদি এ আইনের ব্যত্যয় ঘটে তাহলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে।

লিখিত বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, কোনো ধরণের গবেষণা ছাড়া তাড়াহুড়া করে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ শঙ্কার কারণে যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে জোর করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠেলে দেন। পরে দেখা যায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের বদলে হয়রানি আরো বহুগুণ বেড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, গুচ্ছের মত একটি অদূরদর্শী প্রক্রিয়ার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থানকে অবনমন করা হয়েছে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের ভিতরে এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের বাইরে এটা একটা বৈষম্য নীতিও।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: