• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রতারণা মামলায় কারাগারে পবিপ্রবি`র অধ্যাপক

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৩, ২৩ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
প্রতারণা মামলায় কারাগারে পবিপ্রবি`র অধ্যাপক

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের প্রফেসর ড. এ এস এম ইকবাল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (২২ মার্চ) দায়েরকৃত এক প্রতারণার মামলায় পটুয়াখালীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।

কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার কেইস বা নালিশী মামলা-সিআর ২০১/২২ হিসেবে মামলাটি পটুয়াখালী জেলা আাদালতে দায়ের করা হয়। এতে অধ্যাপক ড. এ এস এম ইকবালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়।  মামলার শুনানিতে গত সোমবার জামিন প্রার্থনার জন্য আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ইন্দ্রজিৎ গাইন ও তার ভাইসহ বেশ কয়েকজনের সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য ২০২১ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. এ এস এম ইকবাল হোসাইনকে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ একটি চক্রকে মোট ২৬ লাখ টাকা প্রদান করেন।  কিন্ত তাদেরকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঐ নিয়োগ পত্র নিয়ে খুলনা সেনানিবাসে সৈনিক পদে যোগদান করতে গেলে ভুয়া নিয়োগপত্র ধরা পড়ে। 

এতে প্রার্থীরা অধ্যাপক ড. এ এস এম ইকবাল হোসেনের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা ফেরত দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে এক চাকরি প্রার্থীর ভাই ইন্দ্রজিৎ গাইন বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তথা পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। পিবিআই তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অধ্যাপক ড. ইকবালের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। 

এ মামলায় সোমবার অধ্যাপক ড.ইকবাল হোসেন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারক তামান্না আক্তার তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কমল দত্ত এসব তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো জাল জালিয়াতির মামলা চলমান আছে বলে তিনি জানান। 


 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: