• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী’

ইভা আক্তার: গবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ২৯ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
‘নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী নারী উন্নয়নের অগ্রদূত ছিলেন। নারী উন্নয়নের নামে স্লোগান নয় বরং অর্থনৈতিক মুক্তিকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার মুক্তির চিন্তা সামগ্রিক, তিনি সবার মুক্তির কথা ভাবতেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টের সভাপতি এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

সোমবার (২৯ মে) গণ বিশ্ববিদ্যায়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অতুলনীয়, এক এবং অনন্য দাবি করে তিনি আরও বলেন, তার মৃত্যু দেশ ও জাতীর জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন বিপ্লবী, সমাজ বিপ্লবের যে চেতনা সেটাই তার মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এবং পরবর্তী সময়ের যুদ্ধে অবলোকন করা যায়। তিনি চাইলেই অনায়েসে দেশের সেরা ধনীদের এখন হতেই পারতেন, কিন্তু তিনি ব্যাক্তি মালিকানায় বিশ্বাস করেন না। যার প্রমান দেখা যায়, তার গড়া কোনো প্রতিষ্ঠানই  তার পরিবার বা নিজস্ব মালিকানার অন্তর্ভুক্ত নয়। আজ দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে উন্নয়ন বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে বিচ্ছিন্নতা, এই বিচ্ছিন্নতার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন। তিনি সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. কণা চৌধুরী, ডা. মনজুর কাদের আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ডা. ফরিদা আখতার, ড. আসিফ নজরুল, ওয়ালিউল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এমিরেটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা যারা জীবিত আছি, আমাদের বহু জীবিত মানুষের চেয়ে অনেক তীব্র ও উজ্জ্বলভাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বেঁচে আছেন। তিনি এখনও আমাদের মাঝেই বেঁচে আছেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমার জীবনের আইডল  তিনি সারাজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যিনি সারা জীবন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করে গেছেন। তার সব চেয়ে বড় চেতনা ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না। বহু অপবাদ সহ্য করেছেন, বহু বর্বরতা সহ্য করেছেন।ইয়াংপলেটিশিয়ানরা ও তাকে আইডল মানতেন। তার ছিলো অগাধ আত্মসম্মান যিনি নিজ আদর্শ বজায় রাখতে জীবনের শেষ চিকিৎসা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আবুল হোসেন বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সাদামাটা একজন মানুষ। আমাদের জন্য তিনি একজন দৃষ্টান্ত,তাকে ধারণ করতে পারাটাই আমাদের এবং শিক্ষার্থীদের সবার জন্য সফলতার কারণ হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকলে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করেন। তারপর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তৃতীয় লিঙ্গের কর্মচারীরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
 

বিভি/ এইচএস

মন্তব্য করুন: