• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ইবির প্রধান ফটকে তালা দিল ছাত্রলীগ! 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২৯ মে ২০২৩

আপডেট: ২১:৪০, ২৯ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ইবির প্রধান ফটকে তালা দিল ছাত্রলীগ! 

ভিসি বাংলোয় সিন্ডিকেট শুরুর সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রধান ফটক আটকিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন আটকে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে তারা প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন। এতে কুষ্টিয়া, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ রুটে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রধান ফটকে আটকে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ‘কথায় কথায়’ ফটক আটকিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন পরিবহন প্রশাসক। 

এদিকে ঠিক কি দাবিতে আন্দোলন চলছে এ ব্যাপারে জানেন না আন্দোলনকারীরা। একাধিক আন্দোলনকারী একেকরকম দাবির কথা জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে প্রশাসনের কাছে দেওয়া ছাত্রলীগের ৩৩ দফার বিষয়টি জানালেও পরে তারা ৭ দফা দাবির কথা জানান। 

অন্যদিকে কয়েকজন নেতাকর্মী আন্দোলনকারীদের দাবি, গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, সুপেয় পানি ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সমস্যা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা। তবে পরে আবার তারা ৪ দফা দাবির কথা জানিয়েছেন।
 
শিক্ষার্থীরা বলেন, গেট আটকিয়ে আন্দোলন করে শুধু আমাদের ভোগান্তিই বাড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যদি শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে তাহলে এ আন্দোলন কাদের জন্য?

জানা যায়, বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। ঠিক ওই সময়ে প্রধান ফটকে তালা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। চারটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে তারা আন্দোলন করে। আড়াই ঘন্টা প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ঘটনাস্থলে আসেনি। পরে সাড়ে ছয়টার দিকে প্রক্টর ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলন কারীদের সাথে কথা বলেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) বেলা ১২টায়  আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন আশ্বাসে তালা খুলে দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন  সাংবাদিকদের বলেন, সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে কথা বলুক। পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভিন্ন কথা ছিল। শুধু শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। এভাবে কথায় কথায় গেইট আটকানো উচিত না। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমি মনে করি এটা সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।

এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি না আসলেও ঘটনাস্থলে সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন। কথায় কথায় প্রধান ফটক আটকানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের মাধ্যম এটা হতে পারে না। আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো নিয়ে মঙ্গলবার ১২টায় আলোচনা হবে।'

বিভি/আইএস/এইচএস

মন্তব্য করুন: