প্রশ্ন ফাঁসকারী আবেদ আলীকে নিয়ে যা বলছেন শোবিজ তারকারা

প্রশ্ন ফাঁসকারী আবেদ আলীকে নিয়ে যা বলছেন শোবিজ তারকারা
কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় আছেন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী।
সৈয়দ আবেদ আলী বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস করে ড্রাইভার থেকে হয়েছেন কোটিপতি। তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। তাকে নিয়ে কথা বলছেন শোবিজ তারকারাও।
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা শামীম হাসান সরকার এই প্রশ্ন ফাঁসকারীকে নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘ভালোই লাগলো আপনার ঈমান দেখে। বাসে, কারে, প্লেনে, ঘরে, বাইরে, মাঠে, ময়দানে, সমুদ্র, সৈকতে আপনি সিজদাহরত। আর আপনার ছেলের দায়িত্ব ছবিগুলো ফেসবুকে আপলোড দেওয়া, সুন্দর সুন্দর নীতিবাক্যসহ।’
এই অভিনেতা আরও লেখেন, ‘সকাল থেকে রাত, আপনার ছবি দেখেই কুপোকাত। রাতে হয়তো খোয়াব দেখতে হবে আপনার সঙ্গে করছি বাত। দেখা হলে একটাই জিজ্ঞাসা ছিল আপনার কাছে- দেশের তো মারা সারা। কবরে টাকা নিতে পেরেছে কারা?’
আবেদ আলীকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। পোস্টে আবেদ আলীর নামাজরত একটি ছবি শেয়ার করে এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘যারা দেখিয়ে দেখিয়ে ধর্মচর্চার নামে বাড়াবাড়ি করে, পাশে মসজিদ কিংবা নামাজের স্থান রেখে রাস্তায়, খেলার মাঠে, সমুদ্র তটে নামাজ পড়ে ছবি দেয় সোশাল মিডিয়ায়, তাদের মাঝে আমি কোনো ভালো মানুষ দেখি না। সবগুলোই বাটপার।’
অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘যারা শুক্রবার “জুম্মা মুবারক” বলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়, আর যারা নিজের আমলনামা বাদ দিয়ে অন্যদের পোস্টে কমেন্ট করে -পরকালে দোজখে যাবে!! আর দান খয়রাতের ছবি-হিসাব প্রচার করে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইগুলোকেও আমার একই ভন্ড মনে হয়।’
প্রসঙ্গত, প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসার পর আবেদ আলীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলী একজন ড্রাইভার হলেও তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য সামনে এসেছে। তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা, পড়েছেন বিদেশে, এরপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার ভেতর তার দুটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান বাড়ি রয়েছে আবেদ আলীর।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন আবেদ আলী। আবেদ আলী সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত চলাফেরা করতেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেও উঠবস করতেন। তবে এসব করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে।
বিভি/জোহা
মন্তব্য করুন: