ত্রাণ নিয়ে নিজ এলাকার বন্যার্তদের দোরগোড়ায় বুবলী
চলমান বন্যাকে বলা হচ্ছে দেশের স্মরণকালের অন্যতম দুর্যোগ। অসংখ্য মানুষ হারিয়েছে তাদের ভিটে মাটি, সাজানো সংসার। এ পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃতের সংখ্যা জানা গেছে।
তার চেয়ে বড় কথা, বর্তমানে বন্যাকবলিত মানুষরা ভুগছেন চরম খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের কষ্টে। আশার কথা হলো- এই বড় বিপর্যয় মোকাবিলা করতে দেশের সর্ব সাধারণ এগিয়ে এসেছেন।
পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও। কেউ ফেসবুকের মাধ্যমে বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন, কেউ আবার অর্থ দিয়ে সাহায্য করছেন। আবার কেউ কেউ স্বশরীরে বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে নিজ হাতে সাহায্য করছেন।
দেশের এই চরম অবস্থায় আর বসে থাকতে পারলেন না ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। তিনি শুরু থেকেই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বুবলী নোয়াখালীর মেয়ে। নিজের জেলা এবং আশেপাশের জেলাগুলোতেই বন্যা হয়েছে। নিজের গ্রামের বাড়ির এলাকার মানুষ ভালো নেই বলেই হয়তো এবার নিজে ছুটে গেলেন বন্যা কবলিত এলাকায়।
নায়িকা নৌকায় ছুটলেন বন্যা দুর্গতদের দোরগোড়ায়। নিজ হাতে তুলে দিলেন খাবার পানি, মুড়ি-বিস্কুট, স্যালাইনসহ অনেক উপহারসামগ্রী।
বুবলী বেছে নিলেন অনেকটা অবহেলায় পড়ে থাকা নোয়াখালী অঞ্চলকে। যেখানে তার নিজেরও পৈতৃক ভিটা। তবে পানি নেমে যাওয়ার পর কিংবা ত্রাণ দেওয়া মানুষের ভিড় কমার পর বুবলী অনেকটা স্বাভাবিক পরিবেশে গিয়ে হাজির হয়েছেন ত্রাণ নিয়ে। জানান দিলেন, ইচ্ছে করেই রয়ে-সয়ে তিনি নৌকায় চেপেছেন। কারণ, বন্যাকবলিতদের মূল অভাব শুরু হয় বন্যা পরবর্তী সময়ে। তখন সাহায্য করার মানুষও সে অর্থে থাকে না।
সেই ভাবনা থেকে ২৯ আগস্ট পিকআপ ও নৌকা যোগে বিপুল খাবার সামগ্রী বণ্টন করেন নোয়াখালীজুড়ে। বুবলীর ভাষায়, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরও দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে আমি সবসময় চেষ্টা করি এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’
নোয়াখালী ঘুরে এসে বুবলী আরও জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক। ফলে সবার কাছে উপহার পৌঁছানো খুবই কঠিন কাজ। তবুও তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই বলে, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহার সামগ্রীগুলো সঠিকভাবে পৌঁছায়, সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: