শবনম ফারিয়াকে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করে শাস্তি পাচ্ছেন যুবক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারকাদের নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হওয়ার ঘটনা হরহামেশা। তবে অভিনেত্রীদের এই হয়রানির হার দিন দিন বাড়ছে। এবার যার শিকার হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তবে এর প্রতিকারও পেয়েছেন তিনি। তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা ওই যুবকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুবকের কর্মস্থান সাজিদা ফাউন্ডেশন।
সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও তানজিদ হাসান তামিমদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে একমঞ্চে হাজির হয়েছিলেন শবনম ফারিয়া। সেখানে মঞ্চে ফটোসেশনের সময় শবনম ফারিয়াকে হাসতে হাসতে বলতে শোনা যায়- ‘আমি তাসকিনের পাশে দাঁড়াবো না, আমাকে খাটো লাগবে। তামিম ভাইয়া তুমি আসো’।
ফেসবুকে ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে সেখানে আপত্তিকর কমেন্ট করেন রাকিবুল হাসান নামে এক যুবক। যা চোখে পড়তে কমেন্টের স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন শবনম ফারিয়া। সেই সঙ্গে পোস্টে যুবকের প্রোফাইলজুড়ে দেন তিনি। যেখানে দেখা যায় ওই যুবক সাজিদা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিওতে চাকরি করছেন।
অভিনেত্রীর সেই স্ট্যাটাসের পরপরই সাজিদা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক স্ট্যাটাসে জানানো হয়, রাকিবুল হাসান নামের সেই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
যেখানে বলা হয়, ‘গত ১৮ মার্চ শবনম ফারিয়ার ফেসবুক পোস্টে সাজিদা ফাউন্ডেশনের কর্মী রাকিবুল হাসান আপত্তিকর কমেন্ট করেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের আচরণ (অফিস সময়ের ভেতরে বা বাইরে) সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। এ নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের সুরক্ষা কমিটির তদন্ত চলছে এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাজিদা ফাউন্ডেশনের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন শবনম ফারিয়া। এ নিয়ে এক পোস্টে তিনি লেখেন– অনলাইনে বা অফলাইনে, কেউই কোনো নারীর প্রতি হয়রানি করার অধিকার রাখে না। অসম্মানজনক আচরণ কখনোই সহ্য করা উচিত নয়, আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমি সাজিদা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য। তাদের এই দ্রুত সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এমন আচরণের ফলাফল ভোগ করতে হয়, তা যেখানেই হোক না কেন। আসুন, আমরা সবাই হয়রানির বিরুদ্ধে দাঁড়াই এবং সৌহার্দ্য ও শ্রদ্ধাশীলতার পরিবেশ গড়ে তুলি।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: