মো. ফাহাদের পরিচালনায় ব্যতিক্রমী নাটক ‘জামাই শ্বশুর জুয়াড়ি

জামাই-শ্বশুরের মধ্যকার সম্পর্ক হওয়া উচিৎ দুরত্ব ও সম্মানের। কিন্তু সেই সম্পর্ক ছেদ করে জামাই ও শ্বশুর যখন একসাথে বসে জুয়া খেলা তখন শুনতে কেমন যেন লাগে। ঠিক এমনই এক ব্যতিক্রমধর্মী ও স্যাটায়ার কমেডি নাটক নির্মাণ করলেন নির্মাতা মো. ফাহাদ। আর নাট্যরূপ দিয়েছেন গীতিকবি ও নাট্যকার রাজীব মণি দাস। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তারিক স্বপন, সারা জেরিন, কাজী রাজু, সায়কা আহমেদ, ফরিদ হোসেন, রিকি প্রমুখ।
সৃজনশীল নির্মাতা মো. ফাহাদ বলেন, ‘চারিদিকে নেগেটিভ সংবাদ শুনতে শুনতে মানুষ এখন ক্লান্ত। মানুষের সেই ক্লান্তিবোধ দূর করতেই একটু হাসানোর চেষ্টা মাত্র। আর তাই এই ধরনের কমেডি গল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করি।’
নাট্যকার রাজীব মণি দাস, ‘মানুষ এখন অল্প সময়ে বেশি বিনোদন খোঁজে। সেই বিনোদনের কথা মাথায় রেখে এবং পরিচালকদের পছন্দের গল্প সময় এবং দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী এমন স্যাটায়ার গল্প লিখতে হয়।’
গল্পে দেখা যায় শ্বশুর জামাইয়ের বাড়িতে না বলেই হুটহাট বেড়াতে চলে আসে এবং নিজের মেয়েকে পর্যন্ত জানায় না। গোপনে জামাইয়ের সঙ্গে সারাদিন জুয়া খেলে রাত্রিকালে মেয়ের বাড়িতে আসে তাও জামাইয়ের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে, যেন কেউ কিছুই জানে না। অথচ সারাদিন জামাই-শ্বশুর একসঙ্গে বসেই জুয়া খেলা, সিগারেট খাওয়া থেকে শুরু করে হাসি-ঠাট্টা কতকিছুই না করলো।
মেয়ের শাশুড়ি তো বেয়াইকে দেখে বুঝার বাকি থাকে নাই যে হঠাৎ না বলে কেন তার বাড়িতে আগমন। কড়া ভাষায় ছেলের শ্বশুরকে শাসিয়ে দেয় যেন কোনোভাবেই জামাইয়ের সাথে জুয়ার আসরে না বসে।
অপমানজনক কথা বললেও বেয়াই সেগুলো একদমই গায়ে মাখে না। তার শেষ কথা যতদিন জীবন থাকবে, ততদিন জামাই-শ্বশুর এক সাথে জুয়া খেলেই যাবে। এমনকি, জামাইয়ের টাকা শেষ হয়ে গেলে শ্বশুর তার পকেট থেকে জামাইকে টাকা দেয় জুয়া খেলার জন্য। এমন অদ্ভুত শ্বশুর আর জামাইয়ের কর্মকান্ডে বিরক্ত দুই পরিবার।
একপর্যায়ে শাশুড়ি বেয়াইয়ের সাথে না পেরে বউয়ের ওপর অত্যাচার বাড়িয়ে দেয়। অতঃপর বউ-শাশুড়ির গোপন সমঝোতা হয় কিভাবে জামাই-শ্বশুরকে এই জুয়ার পথ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়।
জামাই-শ্বশুরকে কিভাবে ফিরিয়ে আনা হয় সেই রহস্য উদঘাটন করতে হলে দেখতে হবে ‘জামাই-শ্বশুর জুয়াড়ি’ নাটকটি। শীঘ্রই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা যায়।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: