• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মানতে পারছেন না মিথিলা, করলেন আক্ষেপ

প্রকাশিত: ১১:৫২, ৫ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মানতে পারছেন না মিথিলা, করলেন আক্ষেপ

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সম্পর্ক এক জটিল রসায়ন। দীর্ঘ ১১ বছরের সফল দাম্পত্য জীবন শেষে ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা আসে। তবে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা ৮ বছর আগের বিচ্ছেদ নিয়ে আক্ষেপ করেছেন মিথিলা। তবে, এতোদিনে অন্য সঙ্গী নিয়ে ক্যামেরা মাতিয়ে রাখছেন তাহসান। 

একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা জানান, বিচ্ছেদের চূড়ান্ত ঘোষণার আগে তারা প্রায় দুই বছর আলাদা ছিলেন এবং এই সময়ে তিনি তাহসানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটা মানতেই পারছিলেন না। তাহসান ও মিথিলার সম্পর্ক বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু হয়েছিল, এবং ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট তারা বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে একমাত্র কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান ২০১৩ সালে জন্ম নেয়। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের জুটি ভক্তদের কাছে ‘আদর্শ দম্পতি’ হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই যখন ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়, তখন অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন।

বিচ্ছেদের ৮ বছর পর ওই পডকাস্ট অনুষ্ঠানে মিথিলা বলেন, তাহসানের সঙ্গে সেপারেশনে থাকার সময় ভেবেছিলেন শেষ পর্যন্ত হয়তো বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়নি।

তিনি বলেন, ‘যে কোনো বিচ্ছেদ বা যে কোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহজ না খুবই কঠিন। বন্ধু বা এটা যে কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে। আমি ছিলাম তখন অনেক অল্পবয়সী এবং তরুণী মা। আমি যে কোনো একটা ভালো মন্দ বিচার করবো বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসবো, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ আমার একটা ১ বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো নিজের জীবনের।

অভিনেত্রী জানান, ২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম। হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। একে তো আমার বাচ্চা আছে তারপর আমি জানলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যত না। আমি তখন চাকরি করতাম, কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। কিন্তু আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।

মিথিলা বলেন, মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়।

মিথিলা ভেবেছিলেন হয়তো শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা বিচ্ছেদেই গড়ায়। মিথিলা বলেন, ‘এখন হয়তো মেয়েরা অনেক বেশি সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, কারণ এখন মেয়েরা অনেক বেশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাচ্ছে। আমাকে ছোটবেলা থেকে মা বলেছে যা-ই করো নিজের পায়ে দাঁড়াবে। ফলে বিয়ের পরেও আমি আমার পড়াশোনা, চাকরি সব চালিয়ে গেছি। 

তিনি বলেন, তবে তখন আমি অতটা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ছিলাম না যে একা একা অতটা ভাবতে পারবো, বাচ্চা মানুষ করতে পারবো। সেটার জন্য সময় লেগেছে। ২০১৫ সালে আমরা সেপারেশনে গেছি, তারপরে আরো দু বছর গেছে। আমি অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি যে এটা ঠিক হয়ে যাবে। মানসিকভাবে এটা মেনেই নিতে পারছি না।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2