হাবিবের সঙ্গে ‘জাদু’ গানে কে এই তাজিকিস্তানের গায়িকা?

দীর্ঘ এক বছর বন্ধ থাকার পর আবারও ছন্দে ফিরেছে কোক স্টুডিও বাংলা। তৃতীয় সিজনের শুরুর পর দুটি গান এরইমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রকাশ হলো ‘জাদু’। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। তার সঙ্গে রয়েছেন তাজিকিস্তানের গায়িকা মেহরনিগরি রুস্তম।
‘লাগাইয়া পিরিতের ডুরি, আলগা থাকি টানেরে, আমার বন্ধু মহা জাদু জানে’―এমন চমৎকার কথায় গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন দুরবীন শাহের শিষ্য খোয়াজ মিয়া। সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব ওয়াহিদ। আর ফরাসি ভাষায় গেয়েছেন মেহরনিগরি রুস্তম। বাংলার আধ্যাত্মিকতা আর ফারসি কবিতার মিলনে দুই শিল্পীর সংমিশ্রণে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে গানটিতে।
এদিকে ‘জাদু’ গানটি প্রকাশের পরই তাজিকিস্তানের গায়িকা মেহরনিগরি রুস্তমকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও চর্চা। অনেকেই জানতে চেয়েছেন তার সম্পর্কে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগীতশিল্পীদের নিয়ে তথ্য প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম লাস্ট এফম থেকে জানা গেছে, মেহরনিগরি রুস্তম তাজিকিস্তানের একজন পপ তারকা।
১৯৯৪ সালের ১৪ অক্টোবর তাজিকিস্তানের খোভালিং জেলায় জন্ম মেহরনিগরি রুসতমের। মাত্র ৫ বছর বয়সে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। তখন থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে থাকেন। ২০১১ সালে দুশানবের আন্তর্জাতিক স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তালাভুজা সাত্তোরভের নামে নামকরণ করা তাজিক জাতীয় সংরক্ষণাগারের একাডেমিক অনুষদের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তার ভাই সাফারমুহাম্মদ রুস্তমও একজন সংগীতশিল্পী।
২০০১ সালে ‘বাডস অব হোপ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মেহরনিগরি রুস্তম। ২০০৩ সালে ‘সানশাইন’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং এ প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ড প্রাইজ লাভ করেন। পরবর্তীতে তুরস্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘ইয়েদিনজি তুর্কি অলিম্পিক’-এ স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক লাভ করেন। ২০০৬ সালে সিআেইএস তরুণদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ‘ডেলফি গেমস’ প্রতিযোগিতায় লোকসংগীত ও জনপ্রিয় গান বিভাগে দুটি স্বর্ণপদক জিতেন।
এ ছাড়া রাজধানী দুশানবে শহরে অনুষ্ঠিত হয় ‘জিলো-২০১৪’ প্রতিযোগিতা। যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায় ‘আধুনিক ও জনপ্রিয়’ সংগীত বিভাগের একটিতে সেরা নারী গায়িকা নির্বাচিত হয়েছিলেন মেহরনিগরি রুস্তম।
মেহরনিগরি রুস্তমের প্রায় এক দশকের সংগীত ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এর উল্লেখযোগ্য ‘গুল’, ‘নিগিন আনোর’, ‘আনার আনার’। সংগীতের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি। প্ল্যাটফর্মটিতে তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: