মহান স্বাধীনতা দিবসে মালদ্বীপ বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার আয়োজন
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১১৯টি দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। এ দিনটি প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিরা প্রতি বছর গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন। একইভাবে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ) মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসটি মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়েছে। ব্যাতিক্রম ছিল না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল বিএনপির মালদ্বীপ শাখা।
পৃথিবীর যেখানে একজনও প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন, সেখানেই ওড়ে লাল-সবুজের পতাকা। এতে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারে। শেকড়ের সঙ্গে তাদের বন্ধন মজবুত হয়। এরই লক্ষ্যে মালদ্বীপ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো যৌথভাবে (২৭ মার্চ) বিকালে রাজধানী মালের জনপ্রিয় ম্যানহাটন ফিশ মার্কেট রেস্টুরেন্টে, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন সেন্ট্রাল বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ আলী মুকিব।
এ বছর রোজার মধ্যে স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় আলাদা রকম মাত্রা পেয়েছে দিনটি। প্রবাসীরা সারাদিন রোজা রেখে সংগঠিতভাবে ইফতারের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছেন।মালদ্বীপের বাংলাদেশি কমিউনিটি ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোতে ইফতারির বিশেষ আয়োজন ছিলো দিবসটি ঘিরে।মাহে রমজানের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শ্রমজীবী মালদ্বীপ প্রবাসীদের সম্মানে বড় পরিসরের এই ইফতার আয়োজনের সভাপতিত্বে ছিলেন মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডক্টর মুক্তার আলী লস্কর, ন্যাশনাল ব্যাংক মানি ট্রান্সপার লিমিটেডের সিও মাসুদুর রহমান ও সাবেক এনবিএল কর্মকর্তা মো. কাশেদুল হক, হায়দার আলী সাবু, মালদ্বীপ বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ফারুক হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহের মিয়া রানা, বাবুল হোসেন, শাহ আলম, আলতাফ হোসেন, মো. ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক রবিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক খলিলুর রহমান শাহাজী, আলিম দুরানী সহ যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের অসংখ্য নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমেদ আলী মুকিব বলেন, স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বলতে চাই, স্বাধীনতার যে মূল চেতনা, আকাঙ্খা ছিল, যে লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল, সেই আকাঙ্ক্ষা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। সেখানে আকাঙ্খা ছিল গণতন্ত্র রক্ষা করা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সেই গণতন্ত্র অধরা!
সভাপতির বক্তব্যে খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৫৪'তম স্বাধীনতা দিবস এমন একটা সময়ে আমরা উদযাপন করছি যখন প্রিয় বাংলাদেশের মানুষ এক দুর্বিষহ সময় পার করছে। দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ দিশেহারা। তারা চিড়া মুড়ি খেয়ে রোজা রাখছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইফতার পূর্বে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম।
এ দিন বিকালে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা কোনও ভেদাভেদ ছাড়াই ম্যানহাটন ফিশমার্কেট রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে ইফতার করেন, পাশাপাশি দেশটিতে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: