আসছে সিডনির বৃহত্তম বৈশাখী আসর

প্রশান্ত পাড়ের সিডনির বাংলাদেশিদের বড় আসরগুলোর অন্যতম বঙ্গবন্ধু পরিষদের বৈশাখী মেলা। ছোট পরিসর থেকে বড় আসরে ঠাঁই করে নেওয়া মেলাটি আবারো ফিরছে চেনা রুপে, আয়োজক সমর্থকরা গুনছেন অপেক্ষার প্রহর। সেই সাথে ধারাবাহিক গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে আয়োজক কমিটি সম্পন্ন করলেন প্রস্তুতি সভা, তুলে ধরলেন সম্ভাবনা ও বড় সমাগমের রুপরেখা। সেই সাথে কমালেন প্রবেশ ফি।

রবিবার (২২ মে) সিডনির মিন্টোতে গণমাধ্যমকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় নেপথ্যের কারিগররা জানান কতটা প্রস্তুুত তাদের বিনোদন মঞ্চ, সেই সাথে আশ্বস্ত করেন বৈশাখের চিরায়ত আবহের।সংগঠনের সভাপতি ড. মাসুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড. রতন কুন্ড।

আয়োজক কমিটি বাংলাভিশনকে জানায় গত দু’বছর করোনার বিধিনিষেধের জন্য দিনকাল ঠিক করেও মাঠে গড়ায়নি মেলাটি। এ বছর করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় বড় আসরের সম্ভাবনা ধরে রেখে ঈদের পরে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ মে, শনিবার বসছে সিডনির বাঙালিদের অন্যতম আকর্ষণ এ মিলনমেলা। 

এবছর সিডনির ব্যাংকসটাউনের পেসওয়েতে (১৭৬-১৭৮ এল্ড্রিজ রোড, কনডেল পার্ক) সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। মেলার আবেদন ধরে রাখতে এবারের অন্যতম আকর্ষণ ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম। থাকছে বাংলাদেশি খাবারসহ আন্তর্জাতিক হালাল খাবার, বস্ত্র, অলংকারসহ আরও হরেক রকমের স্টল। রাতের আকাশের ঝলকানি দিতে থাকছে ফায়ার ওয়ার্কস। থাকছে শিশুদের প্রিয় রাইডসও।

তাছাড়া দিনব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে বাঙালিদের আনন্দ দিতে কাজ করবে মেলাটি। মেলায় পার্কিংসহ থাকছে আরো কিছু জনবান্ধব সুবিধা। 

মেলা প্রবেশ মূল্য জন প্রতি ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার। তবে ৬ বছরের নিচে শিশুরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে । মেলার টিকিট লাকেম্বা, ইঙ্গেলবার্ন, মিন্টো, ব্লাকটাউন, ইস্ট হিলস্ সহ বিভিন্ন বাংলাদেশী গ্রোসারি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণেও টিকেট পাওয়া যাবে। পার্কিং এর জন্য গুনতে হবে আলাদা দশ ডলার।

মেলার অন্যতম সংগঠক গাউসুল আলম শাহাজাদা বাংলাভিশনকে বলেন, আমরা আমরা যেহেতু গত দু’বছর মেলাটি করতে পারিনি, এ বছর সবাই মরিয়া হয়ে কাজ করছি, বড় সমাগমের আশায় আমরা বৃহত্তর পরিবেশে মেলাটি নিয়ে এসেছি যাতে জনবান্ধবতা বজায় থাকে।