• NEWS PORTAL

মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

নবীনদের স্বপ্নচারণের প্রথম দিন কেমন ছিল?

ইভা আক্তার, গণ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০০:২৯, ২০ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ০০:২৯, ২০ আগস্ট ২০২৩

ফন্ট সাইজ
নবীনদের স্বপ্নচারণের প্রথম দিন কেমন ছিল?

উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী মনে আঁকে নতুন কোন স্বপ্নের ক্যাম্পাস। সাভারের সবুজবীথি ৩২ একরের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ও তেমনি অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের স্থান। নবীনদের সেই স্বপ্নীল ক্যাম্পাসে কেমন ছিল স্বপ্নচারণের প্রথম দিন তা তুলে ধরেছেন ইভা আক্তার। 

‘স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় একটা দিন’

অনেকটা পথ পারি দিয়ে জীবনের কাঙ্খিত দরজা বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখলাম। প্রথমদিন হিসেবে ছিল অনেক কৌতুহল পাশাপাশি মনে ছিল কিঞ্চিৎ ভয়।প্রথম দিনটি শুরু হয় ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে। যে রুমে প্রোগাম হবে সেখানে গিয়ে বসলাম এবং অল্প সময়ে কিছু নতুন বন্ধুর সাথে আলাপ হলো। প্রোগ্রামের শুরুতে বিভাগীয় প্রধান এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য নবীনদের কাছে ব্যক্ত করলেন। বড় আপু ভাইয়ারা সংক্ষেপে অনুপ্রেরণামূলক কিছু কথা বললেন। নবীনদের সুন্দরভাবে বরণ করে নেয় এবং সকলের অনুভূতি জানতে চান। তখন সকলেই তাদের নিজ নিজ স্বপ্ন এবং তা পুরণ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সবকিছু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার প্রথম দিনটি স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সানজিদা খানম ঊর্মি,
ফার্মেসী বিভাগ।

সানজিদা খানম ঊর্মি, ফার্মেসী বিভাগ।

‘এ যেনো এক অজানা অনুভূতি’

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি আমি অনেক উপভোগ করেছি। দিনটি আমার স্মৃতির পাতায় আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ এবং আমার বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয় আদান প্রদানের মাধ্যমে আমি নতুন বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করেছি। উপকথার সময়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাগত করেন এবং উপকথা পেশ করেন। স্বাগত উৎসবে ছিল অনেক আকর্ষণীয় কার্যক্রম, যেখানে আমরা উল্লাসে আনন্দিত হয়েছি। প্রশ্ন উত্তর সেশনে শিক্ষকগণের কাছে আমরা প্রশ্ন করতে পেরেছি। সারাদিনের সকল অভিজ্ঞতা সত্যিই স্মরণীয় এবং জীবনের নতুন এক অজানা অনুভূতি প্রদান করেছে।

সানজিদা আক্তার, 
রসায়ন বিভাগ।

সানজিদা আক্তার, রসায়ন বিভাগ।

‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের থেকে কম নয়

শত প্রত্যাশা, স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়ে যেদিন প্রথম পদচারণা করেছি,সে এক স্বর্গীয় অনুভূতি। নবীনদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনটা আনন্দ আকাশ ছোঁয়া। নতুন এক জীবনের সূচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিনে এক শিক্ষিকা বলেছিলেন স্যার ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাদের নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন আমাদেরও সেভাবেই গড়ে তুলতে চান। বিশ্ববিদ্যালয় যে একটি পরিবার থেকে কম নয় সেটা বুঝতে পারি যখন বড় ভাইয়া-আপুদের সাথে আলাপ হয়। প্রথম পদচারণের দিনটাতে বরন করে নেয় আমাদের। জীবনের এক স্মৃতিমাখা দিন এটি যা সারা জীবন এক অনন্য অনুভূতি হয়ে গুচ্ছিত।

মিরাজুল ইসলাম মুরাদ,
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।

মিরাজুল ইসলাম মুরাদ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।

‘ক্যাম্পাসের পরিবেশেই আমি মুগ্ধ’

ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, খুঁটিয়ে দেখার পরও কোথাও মন থেকে ভর্তি হবার ইচ্ছা কিংবা আকাঙ্খা জাগ্রত হয় নি। হঠাৎ একদিন, জনৈক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিগণ গণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন, উৎসাহিত হয়ে বাস্তবিক ভাবে ক্যাম্পাস দেখার পর, মন কে শান্ত করতে না পেরে ভর্তি হয়ে গেলাম আইন বিভাগে। নবীন বরণে বড় ভাই- আপুদের উপস্থাপনা, ব্যাবস্থাপনা ছিলো মনোমুগ্ধকর। পরদিন থেকে ক্লাস শুরু হলো, শিক্ষকদের পরিচয় পর্ব না দেখলে বিশ্বাস করতাম না তাদের সাথেও এতটা ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়। ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশের পর বলা মুশকিল গ্রামে আছেন নাকি শহরে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পরিবেশ এতটা সুন্দর ও মনোরম যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। 

তাওহীদ আহমদ সালেহীন, 
আইন বিভাগ।

তাওহীদ আহমদ সালেহীন,  আইন বিভাগ।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত