অবরোধকারীদের না পেয়ে পঙ্গু বৃদ্ধকে ধরে নিয়ে গেল পুলিশ!

গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলাম শরীফ
রফিকুল ইসলাম শরীফ শারীরিকভাবে অসুস্থ ও পঙ্গু। বিগত ২০০১ সালের দিকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তখন তার দুটি হাত পুড়ে যাওয়ায় উভয় হাতই কেটে ফেলতে হয়। ফলে তিনি এখন কারো সহযোগিতা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। এমনকি কারো সহযোগিতা ছাড়া তিনি খাবারও খেতে পারেন না। এছাড়াও তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত। অথচ এই পঙ্গু বৃদ্ধকে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে পিকেটিংয়ের দায়ে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
গ্রেফতার শরীফের স্বজনরা অভিযোগ করেন, গতকাল ২২ নভেম্বর (বুধবার) বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে সকাল সাড়ে ৬টায় ভাটারার মাদানি এভিনিউতে ফজর নামাজ পড়ে হাটতে বের হন শরিফ। সেখান থেকে পিকেটার সন্দেহে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে ধরে নির্মম নির্যাতন করে টহল পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ভাটারা থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৪৬(১০)২৩ মামলায় আটক দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠায়। বিজ্ঞ আদালত আজ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
রফিকুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাকিল উদ্দিন প্রিন্স বলেন, রফিকুল ইসলামের প্রতি চরম জুলুম করা হয়েছে এবং তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের অন্যায় ও অবিবেচনাপ্রসূত আচরণের প্রতিবাদের ভাষা নেই।
এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মামলার বাদী এসআই শরিফুল ইসলাম বাংলাভিশনকে বলেন, তারা কয়েকজন মিলে অবরোধের সমর্থনে পিকেটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেসময় আটক করা হয়েছে। আটকের পর তিনি ভাটারার নুরেরচালা ইউনিটের কর্মী বলে স্বীকার করেছেন। পরে মামলায় তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন তিনি পঙ্গু হওয়ার কারণে কতটুকু মানবিক ছাড় পাবেন সেটি আদালতের বিষয়। আমি আইনের মধ্যে থেকে যেটুকু করার তাই করেছি।
বিভি/কেএস/এসএইচ/টিটি
মন্তব্য করুন: