‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে’

মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন (ছবি: ফেসবুক)
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘এখন করিডোর দেওয়ার নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পাঠকের জন্য ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো:
‘যা বুঝতেছি জাতিসংঘের মহাসচিবকে এনে সরকার ওয়াদা করেছে, মানবিক করিডর দিবে এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দিবে। জাতিসংঘের মহাসচিবকে এনে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর মিথ্যা গল্প বলে জনগণের আইওয়াশ করা হলো। বরং উল্টো ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে! জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে আসার অর্জন এতোটুকুই। এখন করিডোর দেওয়ার নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সাথে আমাদেরও কমবেশি বৈঠক হয়। সুতরাং মোটামুটি কোথায় কি হচ্ছে, তা তো জানতে পারি। কিছুদিন আগে বিজনেস সামিট নামে সারাদেশে হৈচৈ তৈরি করা হলো। মনে হলো, বিদেশিরা বিনিয়োগ করার জন্য মুখিয়ে আছে! কিন্তু আসলেই কি তাই? আমার নিজের প্রাপ্য তথ্য অনুযায়ী আমি বলতে পারি, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নির্বাচিত সরকার আসার আগে কোন বড় বিনিয়োগ আসবেনা। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের গ্রহণযোগ্যতার কারণে কমবেশি বিদেশি অনুদান আসবে, কিন্তু বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা কম।
আপনাকে বুঝতে হবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের বিশ্বব্যাপী সম্মান আছে। তিনি বাংলাদেশে যে কাউকে নিমন্ত্রণ করলে চলে আসবে। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে তাকে সম্মান করা আর বিনিয়োগ করা এক জিনিস না। আর তিনি ব্যক্তি হিসেবে ভাল পারফরম্যান্স করলেও, তার পুরো টিমে যোগ্যলোকের বড্ড অভাব। যেমন; আমাদের একজন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আছেন, যিনি ব্যাংকিং সেক্টরে অভিজ্ঞ, কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে তার অনভিজ্ঞতার কারণে আজকে চিকিৎসা খাতের বেহাল দশা। শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতের কোন উন্নতি ছাড়া, দেশের বিন্দুমাত্র উন্নয়ন হবেনা। আবার কয়েকজন উপদেষ্টার Refined আওয়ামীলীগ গঠনের সাথে জড়িত থাকারও খবর শোনা যায়। তারা আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের বিষয়েও তৎপর নয়।’
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: